শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফগানিস্তান তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে দেশটির দোভাষীরা। রোববার সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান কাবুল দখলের পর থেকে ভিটেমাটি ছাড়তে লাখ লাখ আফগান ভিড় করছে বিমানবন্দরে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬০টির বেশি দেশ তাদের জায়গা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। এর মাঝে ২০ হাজার আফগানকে আশ্রয় দেয়ার কথা জানালো যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার বরিস জনসনের প্রশাসন এ প্রতিশ্রুতি দেয় বলে জানা গেছে। খবর: বিবিসি, আলজাজিরা।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী বছরগুলোতে প্রায় ২০ হাজার আফগান নাগরিককে দেশটিতে বসবাসের অনুমতি দেয়া হবে। প্রথম বছর পাঁচ হাজার আফগান যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়া পাঁচ হাজার আফগান দোভাষী ও যুক্তরাজ্যের হয়ে কাজ করা কর্মীদেরও দেশটিতে বসবাসের অনুমতি দেয়া হবে। ধীরে ধীরে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানা গেছে। নতুন এ প্রকল্পের আওতায় নারী, শিশু ও যাদের বেশি প্রয়োজন তাদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানিয়েছে দেশটি।
হিন্দু-শিখদের আশ্রয় দেবে ভারত: এদিকে মঙ্গলবার নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আফগান হিন্দু, শিখ ও স্থানীয়দের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে মোদি বলেছেন, ভারত শুধু নিজের দেশের নাগরিকদের রক্ষা করবে না। আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিখ ও হিন্দুদের অবশ্যই আমাদের আশ্রয় দিতে হবে। যে আফগান ভাইবোনেরা সাহায্যের জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে আছেন, তাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে।
২০০০ আফগানকে আশ্রয় দিচ্ছে উগান্ডা: তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই হাজার শরণার্থীকে সাময়িক আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে উগান্ডা। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে মঙ্গলবার এ শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে উগান্ডা রাজি হয়েছে। ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আফগান শরণার্থীদের অন্যত্র পুনর্বাসনের আগে পর্যন্ত তারা তিন মাসের জন্য সাময়িকভাবে উগান্ডায় থাকবেন।’ উগান্ডা ছাড়াও মার্কিন অনুরোধে সাড়া দিয়ে আফগান শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে আলবেনিয়া এবং কসোভো।
সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা লোকজনকে আশ্রয় দেয়ার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে পূর্ব আফ্রিকার এ দেশটির। বর্তমানে দক্ষিণ সুদান থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থী উগান্ডায় রয়েছে।