৩০২ কোটি টাকা সাশ্রয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং

প্রকল্প বাস্তবায়ন : নৌপথের উন্নয়ন নাব্য রক্ষা, যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সদৃঢ় রাখতে কাজ করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বর্তমান সরকার নৌবান্ধব ও উন্নয়ন কার্যকর নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা গতিশীল রাখার লক্ষ্যে নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছে। নৌপথে নাব্যতা রক্ষা ও মালামাল পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী খনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আলোচ্য নদী খনন প্রকল্পের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপথের ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং (প্রথম পর্যায়ে ২৪টি নৌপথ) দ্বিতীয় সংশোধনী উল্লেখযোগ্য। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) অভ্যন্তরীণ নৌপথগুলোয় পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান নির্বিঘেœ ও নিরাপদে চলাচলের জন্য ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ক্রমহ্রাসমান নাব্যতা উন্নয়ন করার লক্ষ্যে ২০২২ সালে প্রকল্পটি শুরু করে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জুন, ২০২২ সালে সম্পন্ন করেছে। দেশীয় মুদ্রায় ১৯২৩.০০ কোটি ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রায় ৩০২ কোটি টাকা সাশ্রয়ে ১৬১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। খনন প্রকল্পের আওতায় ২৪টি নৌপথে মোট ১১০৩.০০ লাখ ঘনমিটার খননের মাধ্যমে ২৩৮৬ কিলোমিটার নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন করা হয়েছে।

আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় উল্লেখযোগ্য ২০১১ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া মোংলা-ঘষিয়াখালি চ্যানেল ২০১৫ সালে ড্রেজিং করে নৌযান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হয়। ওই চ্যানেল দিয়ে অদ্যাবধি প্রায় ৫ লক্ষাধিক মোংলা বন্দরমুখী নৌযান যাতায়াত করে। বর্তমানে এই চ্যানেল সর্বনিন্ম ১২ ফুট এবং জোয়ারের সময় ২০ ফুট পর্যন্ত পানির গভীরতা থাকে এবং যার প্রস্থ প্রায় ২০০-৩০০ ফুট রয়েছে। নাব্যতা সংকটে খাগদান, লাইকাঠি, ভোলানালা, কীর্তনখোলা, ইছামতি নদী দিয়ে মালবাহী কার্গো ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল নাব্যতা সংকটে বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্পের আওতায় খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আসায় এখন সারা বছর নৌযান চলাচল করে। তাছাড়া ভৈরব-ছাত্রক নৌপথে নাব্যতা সংকটের কারণে শুকনা মৌসুমে হাফমোড় দিয়ে কার্গো চলাচল করত। বর্তমানে নাব্যতা ফিরে আসায় ওই নৌপথে সারা বছর ফুল মোড়ে খাবার, বালু, সিমেন্ট, কয়লা ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উল্লেখ্য, খুলনা নোয়াপাড়া নদীবন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। এ পথে গড়ে ১০০-১২০টি  সার, সিমেন্ট, চাল, গম, কয়লা ইত্যাদি মালবাহী কার্গো পরিবাহিত হয়। আলোচ্য নৌপথে নাব্যতা সংকটে দীর্ঘ দিন নৌচলাচল বিঘিœত হয়েছে। পূর্ণ জোয়ারের সুবিধা ছাড়া নৌযান চলাচল করতে পারত না। বিজ্ঞপ্তি