নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের সমন্বিত শেয়ার ধারণ পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ থাকার বিষয়ে কঠোর হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এখনও যেসব কোম্পানির পরিচালকদের সমন্বিত শেয়ার ধারণ ৩০ শতাংশ হয়নি, তাদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের পরিকল্পনা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কাছে এক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে কোম্পানিগুলোয় কমপক্ষে দুই স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করতে হবে।
এর আগে জুলাই ২০২০ সালে ৪৪টি তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে
উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসইসি। এদিকে ৩১ মে ২০২৩ পর্যন্ত ২৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালকরা সমন্বিতভাবে পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেনি। তবে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত ১৫টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা পরিপালন করেছেন।
তথ্যমতে, ৯টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ২০ শতাংশের নিচে রয়েছে এবং ১০ শতাংশের নিচে শেয়ার রয়েছে তিনটি কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে পাঁচটি কোম্পানি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে, যা কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। আর চারটি কোম্পানি এক বছর ধরে তাদের শেয়ার ধারণের প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেয়নি। ফলে কোম্পানিগুলো ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে।
প্রসঙ্গত, বিএসইসি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের এই নির্দেশনা জারির আগে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নানা অভিযোগ পেয়েছে। এতে কমিশন মনে করে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে অবশ্যই সর্বজনীন নিয়ম মেনে চলতে হবে, যাতে উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা কোম্পানির বিষয়ে মনোনিবেশ করে এবং পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ফিরে আসে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশ অনুসারে, পরিচালকদের সব সময় কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। কিন্তু বিএসইসির জারি করা ২০১১ সালের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে প্রশ্নবিদ্ধ কোম্পানিগুলোর পরিচালকরা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ যদি পরিচালকদের কাছে থাকে, তবে পুঁজিবাজারে চলমান তারল্য সংকট অনেকটা কমে যাবে।