আরাফাত চৌধুরী, জবি প্রতিনিধি : বাজেট বৃদ্ধি, আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে আগামীকাল বুধবার (১৪ই মে) সকাল ১১ টায় ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ই মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠাঁলতলায় ‘জবি ঐক্য’ প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে এই প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো:
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করা।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
জানা যায়, গত সোমবার শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় এক ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশ। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বিত একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে জবির বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসন বিষয়ে আলোচনা হলেও শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, দাবি যথাযথভাবে উপস্থাপন করলেও ইউজিসি বরাবরের মতোই দায়সারা আশ্বাস দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোন ঘোষণা না পেয়ে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ডাক দেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, ‘আমরা আজকে ইউজিসিতে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট আশ্বাস দেওয়া হয়নি। ইউজিসি থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখাও দেওয়া হয়নি। তারা মন্ত্রণালয়ের সাথে মিটিং আয়োজন করবেন বলেছিলেন। যা আমাদের সাথে কালক্ষেপণের কূটকৌশল। আমরা অধিকার আদায়ে যমুনায় যাব, সেখানেই ফয়সালা হবে।’
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আমরা আমাদের বাজেট ১৫৪ কোটি থেকে ৩০৫ কোটি টাকায় বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু ইউজিসি থেকে তা নাকচ করে। তবে তারা স্বীকার করেন জবির শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ পরিবেশে পড়াশোনা করছে ও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু তারা জানান তাদের হাত-পা বাঁধা—তারা চাইলেও কিছু করতে পারবেন না। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছি, কিন্তু সেখান থেকেও কোনো সাড়া পাইনি। আমাদের অনশন কর্মসূচির সময় বলা হয়েছিল বাজেট বাড়ানো হবে, কিন্তু কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। তাই আমাদের সবচেয়ে বড় অভিভাবকের কাছে দাবি পৌঁছে দিতে আমরা যমুনার উদ্দেশ্যে পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’