Print Date & Time : 24 July 2025 Thursday 2:10 am

৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের খবর ভিত্তিহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের খবর ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘কোনো সরকার যদি গর্ধভ দ্বারা পরিচালিত হয়, তাহলে এ ধরনের নোট বাতিলের খবর আগে ঘোষণা দেয়। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের খবর সত্য নয়।’
গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মসিউর। এ সময় ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান ও আহমেদ জামালসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের ড. মসিউর রহমান বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন নীতি ও তা বাস্তবায়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এগুলো নিয়েই আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তবে শুদ্ধি অভিযান ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ কোনো আলোচনা হয়নি।
কোনো কোনো সংবাদপত্রে অর্থনৈতিক অনিয়মের যেসব খবর আসে, তা সব সময় পুরোপুরি সত্য নয় দাবি করে ড. মসিউর বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রকাশিক খবরের আংশিক সত্য। অনেক সময় এসব তথ্যে কোনো প্রমাণও সংবাদে উপস্থাপন করা হয় না।
৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের গুঞ্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে বৈঠকে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আমাদের কিছু তথ্য দেওয়া হয়। সে তথ্য দেখে মনে হচ্ছে সব খবর সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দেশ ভারতে অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে মোদি সরকার ২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করেছিল। এতে দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের নাড়া পড়লেও ওই সিদ্ধান্ত দেশটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছিল।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতেও ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সংবাদকে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমে ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট বাতিলের বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা খবর ছাপানো হয়েছে। এ ধরনের সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে জনমনে ভীতি ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, যার ফলে দেশের মুদ্রা ব্যবস্থাপনার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতে পারে, যা অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত। বাংলাদেশ ব্যাংক জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট বাতিলের কোনো চিন্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই। অর্থাৎ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং সরকারের পক্ষ থেকেও এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংককে কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে যে কোনো ধরনের নোট বা মুদ্রা বা কয়েন মুদ্রণ, ইস্যু কিংবা বাতিলের এখতিয়ার শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে বিধায় এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা বর্ণিত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।