শেয়ার বিজ ডেস্ক: ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলারে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য চেষ্টা করছে পাকিস্তান। জি৭-ভুক্ত দেশগুলোর বেঁধে দেয়া দামের চেয়েও যা ১০ ডলার কম। খবর: এনডিটিভি।
চরম অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটিতে জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি জ্বালানি কেনার জন্য নগদ অর্থেরও ঘাটতি রয়েছে।
ওদিকে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে রাশিয়া। তাই কম দামে তেল রপ্তানি করছে দেশটি।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেল প্রতি ব্যারেল ৮২ দশমিক ৭৮ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। তারপরও বিশ্বের শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি৭-এর আরোপিত প্রাইস ক্যাপ থেকে ব্যারেলপ্রতি কমপক্ষে ১০ ডলার কমে চাইছে পাকিস্তান।
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পাকিস্তান বর্তমানে উচ্চ বৈদেশিক ঋণে জড়িয়ে পড়েছে। দেশটির স্থানীয় মুদ্রা রুপির মূল্যও ব্যাপক হারে কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে ক্রুড তেল কিনতে মরিয়া হয়ে পড়েছে দেশটি।
ভর্তুকিমূল্যে অপরিশোধিত তেলের জন্য পাকিস্তানের অনুরোধে রাশিয়া সাড়া দিতে পারে। এজন্য পাকিস্তানকে অর্থ পরিশোধের পদ্ধতি, প্রিমিয়ামসহ শিপিং খরচ এবং বিমার মতো প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
অবশ্য মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেলের প্রথম চালান আগামী মাসের শেষের দিকে পাকিস্তানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এটি ভবিষ্যতে একটি বড় চুক্তির পথ প্রশস্ত করবে।
এছাড়া রাশিয়ার বন্দর থেকে অপরিশোধিত তেলের চালান পৌঁছাতে ৩০ দিন লাগবে, যার অর্থ পরিবহন খরচের কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০ ডলার থেকে ১৫ ডলার বৃদ্ধি পাবে।
রাশিয়া প্রাথমিকভাবে তেল চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে পাকিস্তানের গুরুত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তবে নিজের ভূখণ্ডে খরচ নির্ণয় করতে পাকিস্তান প্রথমে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের একটি ট্যাংকার আমদানি করবে।
পাকিস্তানে নগদ মার্কিন ডলারের সংকট রয়েছে। তাই চীন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ (ইউএই) বন্ধুপ্রতিম বিভিন্ন দেশের মুদ্রায় রাশিয়াকে অর্থ পরিশোধ করবে দেশটি। এর আগেও রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল কেনার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান।