Print Date & Time : 9 August 2025 Saturday 8:03 pm

৫২৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে ডিএসসিসি: তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ মহামারিতে ৫২৪ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

গতকাল দুপুরে নগরভবনে বিগত এক বছরের কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, মহামারিতে সিটি করপোরেশন ৫২৪ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে। কোনো সংস্থাকে যদি সুশাসনের আওতায় আনতে হয়, তাহলে রাজস্ব আহরণ অত্যাবশ্যক। আমরা কোনো কর বাড়াইনি, করের পরিধি বাড়িয়েছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আহরণের মাত্রা ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

মেয়র বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ, ১২৫ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কার, খাল পরিষ্কার এবং ১০৩ কোটি টাকা জলাবদ্ধতা নিরসনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের খরচ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করে চলেছি। আমরা আশাবাদী, মহামারি কাটিয়ে উঠলে সিটি করপোরেশনের প্রকল্পে সরকার বরাদ্দ দেবে, তখন আমরা আরও ব্যাপক ও গতিশীলভাবে কাজ করতে পারব। উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারব।

মেয়র বলেন, মৌলিক সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রথমে অগ্রাধিকার দিচ্ছি মশক নিধন, এরপর বর্জ্য, রাস্তাঘাট সংস্কার, সড়কবাতি ও জলাবদ্ধতা নিরসন। এ পাঁচটি মৌলিক সেবাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি।

ঢাকার ইতিহাসে আমরা সবচেয়ে সুষ্ঠুভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বিগত বছরগুলোয় ডেঙ্গুর কারণে যেভাবে প্রাণহানি ঘটেছে, সেক্ষেত্রে গত বছরে একটিও প্রাণহানি ঘটেনি। মে মাস ডেঙ্গুর সংক্রমণের সময় শুরু হয়ে গেছে, তার পরও এখন পর্যন্ত আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।

অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, যে তিন মার্কেট থেকে আমরা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছি, সেখানে বর্তমান সংস্কার কার্যক্রম চলছে। সিটি করপোরেশনের নকশা অনুযায়ী দোকানগুলো যেন আবার তৈরি করে দেয়া হয় সেই কার্যক্রম চলছে। এসব মার্কেট সংস্কার কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে অন্য অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে।

এ সময় মেয়র বিগত এক বছরের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক অগ্রগতি-বিষয়ক কার্যক্রম তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সদস্য ও বিভাগীয় প্রধানরা।