৫২ দিন ধরে বিদ্যুৎনেই গাজায়

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় ৭ অক্টোবর। এর পর থেকে অর্থাৎ ৫২ দিন ধরে গাজায় বিদ্যুৎ নেই। গাজা ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (জিইডিসিও) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: আল জাজিরা।

অন্যদিকে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ৬০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ও আবাসিক ইউনিট ধ্বংস হয়ে গেছে।

জানা গেছে, ৮ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং গাজা বিদ্যুৎকেন্দ্র ১১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এমনকি বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেও গাজায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১৩ দশমিক ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দশক ধরে গাজা উপত্যকা একটি দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যুতের ঘাটতিতে ভুগছে, যা এরই মধ্যে সেখানকার জীবনযাত্রাকে ভঙ্গুর করে তুলেছে।

গাজায় চলমান বিদ্যুৎ ঘাটতি অত্যাবশ্যকীয় সেবা বিশেষ করে স্বাস্থ্য, পানি ও স্যানিটেশন প্রাপ্যতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। এছাড়া উৎপাদন ও কৃষি খাতকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার পর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। জ্বালানি, সুপেয় পানি ও কিছু ক্ষেত্রে খাবারের জন্য ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করতে হয় গাজাবাসীকে। ইসরায়েলের বেঁধে দেয়া সময়ে নির্ধারিত করিডর হয়ে গাজায় খাবার ও পানি ঢোকে। হামাসের হামলার জবাবে গাজার ওপর কড়া অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্য, পণ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা।

হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেই থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের তালিকায় ১০ হাজারের বেশি নারী ও শিশু রয়েছে।

গত সপ্তাহে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি দেয়া হয় গাজায়। যুদ্ধবিরতি শেষে গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ফের গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন শুরু করেছে।

এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ ১০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে মিসরীয় সীমান্তের দিকে ঠেলে দিতে পারে।