Print Date & Time : 14 September 2025 Sunday 12:17 pm

৫৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে ফের তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: তাইওয়ানের আকাশসীমায় এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটিয়েছে চীন। তাইওয়ান জানিয়েছে, সোমবার চীনের বিমান বাহিনীর ৫৬টি যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। দেশটির আকাশসীমায় চীনা বিমান বাহিনীর এটিই সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা। এর আগে গত ১ অক্টোবর ৩৮টি যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করেছিল। খবর: রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি।

এদিকে এ ঘটনার পর ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন প্ররোচণামূলক কর্মকাণ্ড’ বন্ধ করতে বেইজিংয়ের প্রতি আহŸান জানিয়েছে তাইওয়ান। দেশটি বলছে, তাইওয়ান ও এর আশপাশের অঞ্চলে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ বেইজিং।

তবে তাইওয়ানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে চীন। তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে চীন। অন্যদিকে নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে থাকে তাইওয়ান।

তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালির পূর্বে চীনা মূল ভ‚খণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপক‚লে অবস্থিত। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চীন বার বার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করে আসছে দ্বীপটি। এছাড়া গত শুক্রবার থেকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সীমানার মধ্যে প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন।

তাইওয়ান সরকার বলছে, তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সর্বশেষ ঘটনায় সোমবার চীনের ৫৬টি যুদ্ধবিমান দ্বীপ অঞ্চলটির প্রতিরক্ষা সীমানায় প্রবেশ করে। এর মধ্যে ছিল ৩৪টি জে-১৬ যুদ্ধবিমান এবং পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ১২টি এইচ-৬ বোম্বার যুদ্ধবিমান। এর সবগুলোই তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রিত প্রাতাস দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। এছাড়া সোমবার রাতে আরও চারটি যুদ্ধবিমানসহ ধাপে ধাপে মোট ৫৬টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।

চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব মালয়েশিয়ার: এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে মালয়েশিয়ার সমুদ্রসীমায় চীনের জলযানগুলো অবৈধভাবে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ করেছে মালয়েশিয়া। এ ঘটনার জেরে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে হুশিয়ারও করা হয়েছে।

সোমবার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বেশ কয়েকবার মালয়েশিয়ার সাবাহ ও সারাওয়াক প্রদেশের দক্ষিণ চীন সাগর উপক‚লে চীনের বেশকিছু জাহাজকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এসব জাহাজের মধ্যে একটি সামুদ্রিক জলসীমা জরিপ নৌযানও ছিল।

বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, উপক‚লের যেসব এলাকায় চীনের নৌযানগুলো দেখা গেছে, সেসব অঞ্চল মালয়েশিয়ার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের (ইইজেড) অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চীন ১৯৮২ যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সমুদ্রসীমা আইনবিষয়ক সম্মেলনে গৃহীত নীতিগুলো চীন বারবার লঙ্ঘন করছে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মালয়েশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রদূতকেও তলব করা হয়েছে এ ঘটনার জের ধরেই।