৫ মাসেও উদ্্ঘাটন হয়নি জবি শিক্ষার্থী আকবর হত্যার রহস্য

জবি প্রতিনিধি: পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ছাত্র আকবর হোসাইন খান রাব্বি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উম্মোচন করতে পারেনি পুলিশ। দীর্ঘসময় পরেও তদন্তের কোনো অগ্রগতি না পাওয়ায় পরিবারের দাবি মামলাটি পিবিআই বা সিআইডির অধীনে দেয়া হোক। এজন্য তাদের পরিবার থেকে একটি লিখিত আবেদনও করেছেন তারা। এছাড়া পরিবারের দাবি সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের এখন অবধি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও আশ্বাস তেমন কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না তারা।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আকবর হত্যাকাণ্ডের দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও আকবরের বড় বোন লাবণী খানম আঁখি।

লাবণী খানম আঁখি বলেন, রাব্বি পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যায় এবং তার সহপাঠীরা বিভিন্ন সময়ে ফোনে যোগাযোগ করলে আশপাশে রয়েছে বলে জানায়। সর্বশেষ রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে  একটু পর বাসায় ফিরবে বলে আমাকে জানায়। রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে জানা যায় আকবরকে চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন ফ্লাইওভার থেকে কে বা কারা নিচে ফেলে দেয়। এরপর প্রতক্ষ্যদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় তার কোমরের বাম পাশে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে গভীর এক ক্ষত ছিল। টানা ৫ দিন চমেক হাসপাতালোর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ সেপ্টেম্বর ভোরে তার মৃত্যু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সহপাঠীরা বলেন, আমরা একজন সহপাঠীর এমন রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। দ্রুত সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে অনতিবিলম্বে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব। তারা অনতিবিলম্বে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান এবং দ্রুত বিচার না হলে আমরা অনতিবিলম্বে কঠোর কর্মসূচিতে যাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, সিআইডি ও পিবিআই’র সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। কোনো আপডেট তথ্য পেলেই আপনাদের জানানো হবে এবং সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।