৬ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন সাতক্ষীরা জেলায়

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ সাতক্ষীরা উপকূলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ওপরে তার ছিঁড়ে ও সঞ্চালন লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ে জেলার ছয় লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

জানা যায়, রেমালের প্রভাবে রোববার সকাল থেকেই জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। শ্যামনগর, কালীগঞ্জ, ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় সারা দিনই বিদ্যুৎ ছিল না। অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ ছিল আসা-যাওয়ার মধ্যে। তবে জেলা সদরের পৌর শহরে রোববার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছিল। তবে ঝড়ে সঞ্চালন লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় রাত ১১টার পর পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

উপকূলের বুড়িগোয়ালীনি এলাকার আব্দুল হালিম বলেন, আমার ফোনে মাত্র এক পয়েন্ট চার্জ আছে। ফোন বন্ধ হয়ে যাবে অনলাইনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না।

উপকূলের জান্নাতুল নাইম বলেন, নেটওয়ার্ক সমস্যা ও মোবাইলে চার্জ না থাকায় সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিনা।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, রেমালের আঘাতে জেলার ৬ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। এতে কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে অনেক লাইন বিদ্যুৎসংযোগ পুনরায় চালু করেছি। ক্ষতির পরিমাণ এখনই জানানো যাচ্ছে না। নিরূপণ করে বলতে পারব কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।

সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সহকারী প্রকৌশলী মতিয়ার রহমান বলেন, আমাদের ৫৬ হাজার গ্রাহক। রেমালে মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এবং কয়েকটি খুঁটি ভেঙে পড়ায় রোববার রাত ১১টার পর থেকে বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঝড় থামার পরপরই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ শুরু করছি। ১১টি ফিডারের মধ্যে আটটি চালু করতে পেরেছি। ৫৬ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৪০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে পেরেছি। বাকিদের বিদ্যুৎ সরবরাহে আমরা কাজ করছে যাচ্ছি। ঝড়ে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এখনই বলা হচ্ছে না। ক্ষতি নিরূপণ আমরা কাজ করছি।