নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের দুই কোম্পানি ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ও ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা ব্যাংক: নন-কনভারটেবল সাবঅরডিনেটেড বন্ড ইস্যু করে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি পরিচালনা পর্ষদ। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ডটি ইস্যু করা হবে। ব্যবসা সম্প্রসারণ ও মূলধন শক্তিশালী করতে এই বন্ড ইস্যু করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলেই বন্ডের মাধ্যমে টাকা তুলবে ব্যাংকটি।
গতকাল কোম্পানিটির সাত কোটি ৪৫ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিন ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬২৪টি শেয়ার ৫৭০ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২০ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২১ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর ছিল ছয় শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ২১ টাকা ৬৮ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৪২ পয়সা ও ২১ টাকা ৮৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্র্তী মুনাফা করেছে ১৫৫ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এটি আগের বছর ছিল ১৫১ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এক হাজার কোটি অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭২২ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
কোম্পানির মোট ৭২ কোটি ২২ লাখ ৯৫ হাজার ৭২০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে ৩৯ দশমিক ৫২ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ২৫ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৫ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ওয়ান ব্যাংক : ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ৪০০ কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করবে। কোম্পানিটি টায়ার-২ মূলধন শর্তপূরণে এই বন্ড ইস্যু করবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যু করতে পারবে ব্যাংকটি। বন্ডটির মেয়াদ হবে সাত বছর। বন্ড থেকে আয় মূলধন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণ পোর্টফোলিও বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
গতকাল কোম্পানিটির আট কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিন ৩৩ লাখ আট হাজার ৬৫৪টি শেয়ার ৬২১ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৫ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ২৫ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত বছরের জন্য ১৩ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৬৪ পয়সা এবং এনএভি ১৮ টাকা ৯৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২৪১ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৩০ কোটি তিন লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫২৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।