লাজিনা ইসলাম চৌধুরী : গ্রীষ্মকাল চলছে। গরমে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি ও খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, মাথাব্যথা, পানিশূন্যতা ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এ সময় পর্যাপ্ত পানি পান ও খনিজসমৃদ্ধ পানীয় গ্রহণ করা উচিত।
পানি: সবচেয়ে সহজলভ্য ও দরকারি পানীয় হলো পানি। এই গরমে দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে পানি হতে হবে বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার।
কাঁচা আমের জুস: কাঁচা আমে ভিটামিন সি, এ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। কাঁচা আমের জুস শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে।
ডাবের পানি: ডাবের পানি প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট-সমৃদ্ধ, যা পানি ও পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে। তবে ডাব খেতে হলে কিডনি রোগীর উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
ফলের রস: দোকানের চিনিযুক্ত জুস পরিহার করে বাড়িতে তৈরি করে নিন। আলাদা চিনি বা লবণ না মেশানোই ভালো। এগুলো ভিটামিন ও মিনারেল-সমৃদ্ধ, যা শরীরের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করে।
লেবুর শরবত: লেবুর শরবত শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
দই বা ঘোল: দই ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। এ ছাড়া দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই বিভিন্ন ফল, বাদাম বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এর পুষ্টিগুণ বাড়ে।
ডিটক্স ওয়াটার: শরীর ঠান্ডা রাখতে ঘরেই শসা, লেবু ও পুদিনাপাতা দিয়ে বানিয়ে নিন ডিটক্স ওয়াটার। এই পানীয় ওজন কমানোর পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীর ঠান্ডা রাখে। এ ছাড়া যেকোনো ফল দিয়ে বানানো ডিটক্স ওয়াটার স্টিল বা কাচের পাত্রে বানাবেন। প্লাস্টিকের জারে না বানানোই ভালো। ডিটক্স ওয়াটার একসঙ্গে বেশি পরিমাণে না পান করে সারা দিন ধরে অল্প অল্প পান করুন। বানানোর পর ডিটক্স ওয়াটার ফ্রিজে রেখে দিন। বেশিক্ষণ বাইরে রাখলে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, পিপলস হাসপাতাল, মালিবাগ, ঢাকা