শোবিজ ডেস্ক: বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ আবদুল্লাহ আল-মামুনের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে নাট্যসংগঠন থিয়েটার (নাটক সরণি)। রাজধানীর সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে আজ বিকাল ৪টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। তার সৃষ্টির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, অভিনয়শিল্পী সারাহ বেগম কবরী ও সুবর্ণা মুস্তাফা। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উš§ুক্ত। সন্ধ্যা ৭টায় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন রচিত ও নির্দেশিত নাটক ‘মেরাজ ফকিরের মা’। কর্মজীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও প্রথম জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবেও দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি ২০০০ সালে একুশে পদক পান। ১৯৪২ সালের ১৩ জুলাই তিনি জামালপুর জেলায় জš§গ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন ১৯৬৪ সালে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০১ সালে তিনি শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৮ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। থিয়েটার নাট্যদলের সভাপতি ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, ‘জš§দিনে আমরা তাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করব স্মৃতিচারণ এবং তার নাটকে অভিনয় করে।’ আবদুল্লাহ আল-মামুন একাধারে নাট্যকার, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। নাট্যসংগঠন ‘থিয়েটার’-এর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম তিনি। এ দলের জন্য ১৮টি মঞ্চনাটক লিখেছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন ২৩টির।
