২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মুকামিয়া গ্রামে ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তহাট’ উদ্বোধন করা হয়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ভারতের বানিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারাম, হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণসহ
দু’দেশের কয়েকজন এমপি, সচিব ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ হাট উদ্বোধন করেন।
এ হাটে রয়েছে দু’দেশের ৫০টি দোকান। এর ২৫টি বাংলাদেশের, ২৫টি ভারতীয়দের। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা মাছ, শুঁটকিসহ বিভিন্ন দেশি পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন এখানে। ভারতীয় দোকানে বেশি বিক্রি হয় শিশুপণ্য, প্রসাধনী সামগ্রী, চাল, চা-পাতা প্রভৃতি। কেউ চাইলে টাকা বাট্টা করে নিতে পারে বাজারের ভেতরের মানি এক্সচেঞ্জ অফিস থেকে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাটে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ গেটে দায়িত্ব পালন করছেন বিজিবি সদস্যরা। ভারতীয় গেটের দায়িত্বে রয়েছেন বিএসএফ জওয়ানরা। মঙ্গলবার বাজারটি উদ্বোধন করায়
প্রতি মঙ্গলবার হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বর্ডার হাটের পাঁচ কিমি এলাকার মধ্যে বসবাসকারী ব্যতীত অন্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও এর নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে দালালের মাধ্যমে টিকিট কিনে দূরবর্তী এলাকা থেকে আসা অনেককে ভেতরে যেতে দেখা গেছে।
যেভাবে যাবেন
দেশের যে কোনো স্থান থেকে বাস অথবা ট্রেনে করে চলে আসুন ফেনী জেলা শহরে। ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে চলে যান ছাগলনাইয়া। ছাগলনাইয়া থেকে পাঁচ কিমি দূরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তহাট।
শাহাদাত হোসেন তৌহিদ