নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি আয় ১০ পয়সা বেড়েছে নর্দার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল সাত পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১০ পয়সা। তিন প্রান্তিকে অর্থাৎ ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ইপিএস ছিল এক টাকা ৭৪ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২০ টাকা ৪১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২০ টাকা সাত পয়সা।
২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানি। গতকাল কোম্পানিটির ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৯৫ হাজার ৩৫৪টি শেয়ার মোট ৮৩ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর এক দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৮ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৬৩ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ১৯ টাকা ৯৬ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ছয় কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৪২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ কম। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৭১ পয়সা এবং এনএভি ছিল ২০ টাকা ১৬ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৮৫ পয়সা ও ২০ টাকা ৬৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ছয় কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ছয় কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট চার কোটি ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬১১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৪১ দশমিক ৫৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ২২ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৯৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৯২ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে দুই পয়সা। চালতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ২০ টাকা ৮৮ পয়সা, যা একই বছরের একই সময় ছিল ১৯ টাকা ২৫ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ৪১ পয়সা কমেছে। দুই প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৬৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।