সংশোধন সত্ত্বেও বাজারের গতি ইতিবাচক

রুবাইয়াত রিক্তা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক চার দিবস ইতিবাচক থাকার পর গতকাল সংশোধন হয়েছে। প্রথমার্ধে কেনার চাপে সূচক ইতিবাচক হলেও দ্বিতীয়ার্ধে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল। বিক্রির চাপ থাকা সত্ত্বেও গতকাল ডিএসইতে ৪৯ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ৩৯ শতাংশের দর। লেনদেনও প্রায় ২০০ কোটি টাকা বেড়েছে। দুর্বল কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধির দৌরাত্ম্যে সূচক ইতিবাচক হতে পারেনি। মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল টেলিযোগাযোগ, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে। সবচেয়ে বেশি ২১ শতাংশ লেনদেন হয় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে। এ খাতে ৬৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। লেনদেনে একক আধিপত্য ছিল খুলনা পাওয়ারের। কোম্পানিটির প্রায় ৯০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ছয় টাকা ১০ পয়সা। ইউনাইটেড পাওয়ারের ৪৭ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সা। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৮ শতাংশ। এ খাতে ৫২ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। সিঙ্গার বিডির ৩০ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি ১৮ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। এছাড়া বিবিএস কেব্লসের সাড়ে ২৭ কোটি, ইফাদ অটোসের প্রায় ২৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৬ শতাংশ। এ খাতে দর বেড়েছে ৫২ শতাংশ কোম্পানির। ভিএসএস থ্রেড ডায়িং দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। কোম্পানিটির প্রায় ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ড্রাগন সোয়েটারের ১৬ কোটি, নূরানী ডায়িংয়ের সাড়ে ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে ৬৯ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অ্যাকটিভ ফাইনের ৪৮ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে এক টাকা। ব্যাংক খাতে মাত্র ২০ শতাংশ এবং আর্থিক খাতে ২৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। তবে আর্থিক খাতের বিডি ফাইন্যান্স প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। টেলিযোগাযোগ খাতের দুই কোম্পানির দরপতন হয়েছে। গ্রামীণফোনের ছয় টাকা ৭০ পয়সা দরপতন সূচক নেতিবাচক করতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ছোট খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৬৪ শতাংশ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৬২ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। পাট, কাগজ ও মুদ্রণ খাত শতভাগ ইতিবাচক অবস্থানে ছিল। কাগজ খাতের বসুন্ধরা পেপার মিলের ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে পাঁচ টাকা ৮০ পয়সা। গতকাল জেড ক্যাটেগরির জুট স্পিনার্স, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, বিচ হ্যাচারি, দুলামিয়া কটন, জিলবাংলা সুগার মিল, নর্দার্ন জুটের মতো কোম্পানিগুলোর দর কারণ ছাড়াই ১০ শতাংশের মতো বেড়েছে।