নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তের মধ্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য তার ও তার স্ত্রী তাহেরা আলমের বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে দুদকের পক্ষ থেকে গতকাল ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রাক্তন মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচতারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ মানি লন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং নিজ স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক অনুসন্ধান করছে।
দুদকের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক। তারা যেন বিদেশে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চিঠিতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে বলা হয়েছে। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে সাবেক এই মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৮ আগস্ট তলব করেছিল দুদক। তখন এক মাস সময় চেয়েছিলেন তিনি। ১০ সেপ্টেম্বর তাকে দ্বিতীয়বার তলব করা হলে তিনি তার আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করার বিষয়টি উল্লেখ করে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নিতে দুদকে আবেদন করেন। তবে হাইকোর্ট দুদকের তলব বৈধ বলে আদেশ দেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে আরও মানুষ নামাতে ‘আমীর খসরু’র’ একটি ফোনালাপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। তা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি তোলার পর এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলাও হয়। ঘটনার পর আমীর খসরু ওই ফোনালাপের কণ্ঠ তার নয় বলে দাবি করেন। মামলা হওয়ার পর বেশ কিছুদিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরে তিনি ওই মামলায় জামিন নেন। এর মধ্যেই দুদক তাকে নিয়ে তদন্তে নামে।