অবশেষে জয় দেখল খুলনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক: শুরুতেই পথ হারিয়েছিল খুলনা টাইটানস। ঢাকায় চার ম্যাচের চারটিতেই হার! বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে গিয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবে সিলেট পর্বের শুরুতেই দেখা মিলল দারুণ এক জয়ের। টানা চারের পর হাসিমুখ খুলনার ক্রিকেটারদের। যদিও রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে দলটির পুঁজি ছিল মাত্র ১২৮ রান। আর সে মামুলি পুঁজি নিয়েই জয়ের মঞ্চ বানিয়ে ফেলল। তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহর স্পিন অবশেষে পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেল খুলনা।
গতকাল বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে ২৫ রানে হারাল খুলনা টাইটানস। পাঁচ ম্যাচে রাজশাহীর এ নিয়ে তৃতীয় ম্যাচে হার দেখল।
বলা হচ্ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান দেখবেন ব্যাটসম্যানরা। জমে উঠবে লড়াই। এমন কী গ্যালারিতে দর্শকও প্রত্যাশা করা হয়েছিল। কিন্তু কিসের কী! বিপিএলে রান আর দর্শক খরা চলছেই। প্রথম ম্যাচের উইকেট বেশ সেøা। দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই রান তুলতে সংগ্রাম করলেন এ উইকেটে। খুলনার পর রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন বেশ অসহায়। স্কোরকার্ডই অবশ্য সে কথা জানিয়ে দেয়।
খুলনা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তুলে ১২৮ রান। জবাবে রাজশাহী ১ বল বাকি থাকতেই অলআউট ১০৩ রানে।
বিস্ময়কর হলেও সত্য সিলেটের উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানের বল গ্রিপ করেছে। আর কাটার স্পিনারদের মতো যেন টার্ন করে ছোবল মেরেছে ব্যাটসম্যানদের। ম্যাচে পল স্টার্লিংকে একাদশের বাইরে রেখেই দল সাজিয়েছে খুলনা। জুনায়েদ সিদ্দিক ও জহুরুল ইসলাম করেন ইনিংসের সূচনা। তবে ৬ বলে ১৩ করে ফিরে যান জহুরুল।
জুনায়েদ ১৪ রান করে ধরেন সাজঘরের পথ। ডাভিড মালান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটেও রান নেই। এরপর কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ৮ রান করেন ১২ বল খেলে। আরিফুল হক ২৭ বলে ২৬ রান।
এরপর জবাব দিতে নেমে আরও বাজে অবস্থা রাজশাহীর। লরি ইভান্স ওপেনিংয়ে নেমে কোনো রান না করেই ফেরেন সাজঘরে। মুমিনুল হক, সৌম্য সরকারও চটজলদি ধরেন সাজঘরের পথ।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ কিছুক্ষণ লড়ে ১৬ বলে ২৩ রানে আউট। তারপর উইকেট পতনের মিছিল চলেছে। রাজশাহী জয়ের সম্ভাবনাই জাগাতে পারেনি। আরাফাত সানি ও কামরুল ইসলাম রাব্বির দুই ছক্কায় ১০০ পেরোয় তারা।
ম্যাচে কার্লোস ব্র্যাথওয়েট একাই নেন ৪ ক্যাচ। যা কি না এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচের বিপিএল রেকর্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটানস: ২০ ওভারে ১২৮/৯ (জহুরুল ১৩, জুনায়েদ ১৪, মালান ১৫, মাহমুদউল্লাহ ৯, শান্ত ১১, ব্র্যাথওয়েট ৮, আরিফুল ২৬, ভিসা ১৩, তাইজুল ০, শরিফুল ২*, জুনাইদ ১*; রাব্বি ৩-০-১৬-০, উদানা ৪-০-৩৬-২, মিরাজ ৪-০-২১-২, মোস্তাফিজ ৪-০-২১-১, সানি ৪-০-২৫-২, সৌম্য ১-০-৬-০)।
রাজশাহী কিংস: ১৯.৫ ওভারে ১০৩ (মুমিনুল ৭, ইভান্স ০, মিরাজ ২৩, সৌম্য ২, ডেসকাট ১৩, জাকির ৭, ইয়োঙ্কার ১৫, উদানা ৬, সানি ১৫, রাব্বি ১৩, মোস্তাফিজ ০*; জুনাইদ ৩.৫-০-২৬-৩, ভিসা ৩-০-২৮-১, তাইজুল ৪-০-১০-৩, মাহমুদউল্লাহ ৪-১-১২-২, মালান ৪-০-২১-০, শরিফুল ১-০-৪-০)
ফল: খুলনা টাইটানস ২৫ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: তাইজুল ইসলাম