পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার বেড়া উপজেলার একমাত্র সিএনজি ফিলিং স্টেশন টানা আড়াই মাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন অটোরিকশা চালকরা। ছয়-সাত ঘণ্টা সিরিয়ালে থেকে শাহজাদপুর ও পাবনা শহর থেকে গ্যাস নিতে হচ্ছে তাদের। এতে অনেকেই নিয়মিত অটোরিকশা নিয়ে বের হতে পারছেন না। ভোগান্তির অজুহাতে বেড়া-কাশীনাথপুরসহ কয়েকটি রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
বেড়া উপজেলায় পাঁচ শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা রয়েছে। বেড়া থেকে কাশীনাথপুর, কাশীনাথপুর থেকে কাজিরহাট, নাজিরগঞ্জ, নগরবাড়ি রুটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন। স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের সুবিধার জন্য সামান্য ভাড়া বেশি দিয়েও অনেকেই অটোরিকশায় চলাচল করতেন। বেড়া ছাড়াও কাশীনাথপুর, নগরবাড়ি, কাজিরহাট, আমিনপুর, সাঁথিয়া, আতাইকুলা, সুজানগর, নাজিরগঞ্জ থেকে পাঁচ শতাধিক সিএনজি বেড়া সিঅ্যান্ডবি বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত বন্ধু সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস নিত। কিন্তু প্রায় দু’মাস আগে স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অটোরিকশা মালিক-চালকসহ যাত্রীরা। এখন অটোরিকশায় গ্যাস নিতে পাবনা কিংবা শাহজাদপুরে যেতে হচ্ছে। এক সঙ্গে চাপ পড়ায় গ্যাস নিতে দীর্ঘ লাইনে ছয়-সাত ঘণ্টা সময় লাগছে। এসব কারণে আগে যেখানে বেড়া থেকে কাশীনাথপুর যেতে ১৫ টাকা লাগতো, সেখানে এখন ২০ টাকা দিতে হচ্ছে।
শরিফুল ইসলাম নামের এক চালক বলেন, গ্যাস নিতে এখন তাদের হয় পাবনা, না হয় শাহজাদপুরে যেতে হচ্ছে। চাপ পড়ায় গ্যাস নিতে দীর্ঘ লাইনে ছয়-সাত ঘণ্টাও সময় লাগছে। এছাড়া টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল হেরফের করা হয়। এসব কারণে আগে যেখানে বেড়া থেকে কাশীনাথপুর যেতে ১৫ টাকা লাগতো, সেখানে এখন ২০ টাকা দিতে হচ্ছে। অপর চালক সুজন মোল্লা বলেন, একদিন গ্যাস নিয়ে পরদিন চালাতে হয়। আবার একদিন বন্ধ থাকে। তাই ভাড়া একটু বেশি নিতে হয়। বেড়া সিএনজিচালক সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, হঠাৎ করে সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকায় চালকদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। মোবাইল ফোনে একাধিকবার ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।