সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন: ডিএসইএক্স ০.৫১ ও সিএএসপিআই ১০.৮০ পয়েন্ট কমেছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সামান্য পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে বেড়েছে মোট টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ। একই চিত্র ছিল অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)।

দিনশেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক (ডিএসইএক্স) দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬২৫ পয়েন্টে। এর আগের ?দুই কার্যদিবসে ধারাবাহিকভাবে ২১ পয়েন্ট ও ২২ পয়েন্ট বেড়েছিল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেন বাড়ছে। এক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারির এক হাজার ৫৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেন বৃহস্পতিবার দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকায়। এ হিসাবে পাঁচ কার্যদিবসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২৭৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানির মধ্যে ১২৬টি বা ৩৮.৪১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ১৬৪টি বা ৫০ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি বা ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ কোম্পানির।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির ৫৬ কোটি পাঁচ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তিতাস গ্যাস।

লেনদেনে এরপর রয়েছে বারাকা পাওয়ার, আরএসআরএম স্টিল, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, এ্যাপোলো ইস্পাত, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, এএফসি এগ্রো বায়োটেক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স।

দিনশেষে সিএসইর সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০৫৬৪ পয়েন্টে। বাজারটিতে ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৫৫টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির। আগের দিন সিএসইর সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়েছিল। আর লেনদেন হয়েছিল ৮০ কোটি ৩২ লাখ টাকার।

ডিএসইতে দর বাড়ার শীর্ষে রয়েছে আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেড। এদিন শেয়ারটির দর চার টাকা ৫০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়েছে। গেইনারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জিএসপি ফিন্যান্স লিমিটেড। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে দুই টাকা ৬০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আজ শেয়ারটি সর্বশেষ ৩০ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। এদিন কোম্পানিটি এক হাজার ৯৫৫ বারে ৫৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৮০টি শেয়ার লেনদেন করে, যার বাজারমূল্য ১৬ কোটি সাত লাখ টাকা।

তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা আলহাজ টেক্সটাইলের ৮ টাকা ১০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ দর বেড়েছে। গেইনার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, এস.আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, আরএসআরএম স্টিল, এএফসি এগ্রো ও লংকাবাংলা ফিন্যান্স।

ডিএসইতে টপ টেন লুজারের শীর্ষে রয়েছে আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। এদিন শেয়ারটির দর দুই টাকা ৪০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে।

লুজারের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ৯ টাকা ৭ পয়সা বা ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ দর কমেছে। গতকাল শেয়ারটি সর্বশেষ ১১০ টাকা দরে লেনদেন হয়। এদিন কোম্পানিটি ৪৯৬ বারে দুই লাখ ৪৭ হাজার ৪৯৩টি শেয়ার লেনদেন করে।

লুজার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে আইসিবি ফার্স্ট এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, বিআইএফসি, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক, এসপিসিএল, ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ও ডরিন পাওয়ার।

অপরদিকে, গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় দুই দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৫৬৪ দশমিক ১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪১৮ দশমিক ৬১ পয়েন্টে।

সিএসইতে মোট ২৫৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়। এরমধ্যে ৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ১৩৫টি প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে। আর দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিলো ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।

অন্যদিকে সিএসইতে ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে, সিএসই’তে এ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের দুই লাখ ২২৮টি শেয়ার লেনদেন হয়ে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে। যার বাজার দর ছয় কোটি ৯০ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৩ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকোর শেয়ারে লেনদেন হয়েছে পাঁচ কোটি ৭১ লাখ টাকা, এ্যাপোলো ইস্পাতের তিন কোটি ৫৫ লাখ ছয় হাজার টাকা, বারাকা পাওয়ারের তিন কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের তিন কোটি চার লাখ ১১ হাজার টাকা, বাংলাদেশ থাইয়ের দুই কোটি ৭ লাখ চার হাজার টাকা, জিপিএইচ ইস্পাতের দুই কোটি দুুই লাখ ৯৩ হাজার টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার এক কোটি ৮৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, বিবিএসের এক কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, পদ্মা অয়েলের এক কোটি ৫৮ লাখ ১০ হাজার টাকা, আইডিএলসি’র এক কোটি ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, ফরচুন সুজের এক কোটি ৪০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, আরএসআরএম স্টীলের এক কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা, আরএন স্পিনিংয়ের এক কোটি ৩৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা, তিতাস গ্যাসের এক কোটি ৩০ লাখ ২৩ হাজার টাকা, এ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালের এক কোটি ২৬ লাখ ৪ হাজার টাকা, এএফসি এগ্রো’র এক কোটি ২৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ইসলামী ব্যাংকের এক কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, সালভো কেমিক্যালের এক কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা এবং কেয়া কসমেটিক্সের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।