কানাডার মাংস আমদানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাল সনদের অভিযোগ এনে কানাডা থেকে মাংস আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কানাডা। এর ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক বিরোধ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খবর: এএফপি।
কানাডায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, মাংস পরীক্ষায় দেখা গেছে পশুর স্বাস্থ্য সনদ জাল করা হয়েছে। তাই মাংসের অর্ডার বাতিল করা হয়েছে। চীনের দাবি, কানাডা থেকে আমদানি করা শূকরের মাংস পরীক্ষায় রেক্টোপামাইন উপাদান পাওয়া গেছে, যা বিশ্বের অনেক দেশেই নিষিদ্ধ।
২৫ জুন ওয়েবসাইটের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দেশের সাধারণ ক্রেতাদের নিরাপত্তা কথা ভেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রফতানি সনদ বাতিলেরও অনুরোধ জানানো হয়েছে কানাডা সরকারকে।’
সাধারণত পশু মোটাতাজাকরণে ব্যবহার করা হয় রেক্টোপামাইন। চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে উপাদানটির ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে অবাধে এটি ব্যবহার করা হয়। আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লে চীনের লাখ লাখ পশু মারা যায়। আর তাতেই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে মাংসের দাম বেড়ে যায়। সেই বিষয়টিও কানাডা থেকে মাংস আমদানি বন্ধে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কানাডার কৃষিমন্ত্রী ম্যারি-ক্লাউড বিবেয়াও বলেছেন, সংকট নিরসনে চীনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে কানাডা খাদ্য ও তদন্ত সংস্থা (সিএফআইএ)। সংস্থাটি ‘অননুমোদিত রফতানি সনদের’ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
এক বিবৃতিতে কানাডার কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, তদন্তের কারিগরি দিকগুলো নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তা অবগত করছে সিএফআইএ। শুধু চীনের ক্ষেত্রেই এমনটি ঘটেছে, কিন্তু অন্য দেশগুলোতে রফতানি সনদে কোনো ঝামেলা নেই বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশও তদন্তে নেমেছে।
এদিকে কিছুদিন আগে কানাডায় গ্রেফতার হয়েছেন চীনের টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ের আর্থিক বিভাগের প্রধান মেন ওয়াংঝো। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে দুই দেশের মধ্যে আবারও মাংস নিয়ে বিতর্ক শুরু হলো।