শেয়ার বিজ ডেস্ক: দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেরি চলাচলও। এতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে গত দুদিনে প্রায় ৩০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউন।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার যাত্রী পদ্মা পারাপার হন। গত মঙ্গলবার ভোর থেকে বুধবার দুপুরে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত সময়ে প্রায় অচল হয়ে পড়ে ১৫টি ফেরি ও ২৪টি লঞ্চ। এতে এই দুদিনে সেখানে প্রায় ৩০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম।
দৌলতদিয়া ঘাটের এই ব্যবস্থাপক জানান, যানবাহন পারাপারের আশায় দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে বর্তমানে সাতটি রো রো ফেরি তিনটি কে-টাইট ও পাঁচটি ইউটিলিটি ফেরি অপেক্ষা করছে। যানবাহন দৌলতদিয়া ঘাটে নেই বললেই চলে। এমনিতে প্রতিদিন আড়াই হাজারের মতো ছোট-বড় যানবাহন পদ্মা পাড়ি দিলেও ধর্মঘটের এই দুদিনে গড়ে ৯০০-এর মতো ছোট আকারের যানবাহন দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি পার হয়েছে। ছোট যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশই প্রাইভেটকার ও অ্যাম্বুলেন্স।
তিনি জানান, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩০ লাখ টাকার মতো রাজস্ব আয় হলেও তা গত দুদিনে নেমে এসেছে সামান্য কোটায়। প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো লোকসান হয়েছে গত দুদিনে।
আল আমিন শিপিং লাইন্স লঞ্চের দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার এমএ সেলিম জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে এমভি ও এমএল ক্যাটাগরির ২৮টি লঞ্চ যাত্রীসেবায় প্রস্তুত রয়েছে। তবে গত দুদিন পরিবহন সংকটের কারণে যাত্রী কম ছিল।