সূচক ১০ পয়েন্ট কমলেও ভাবনায় ফেলেছে বিনিয়োগকারীদের

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গত কয়েকদিন ধরে লাল-সবুজের যুদ্ধ চলছে। আর এ যুদ্ধে সবশেষে জিতে যাচ্ছে লাল। প্রতিদিনই সূচক নেগেটিভ হচ্ছে। অন্যদিনের মতো গতকালও সূচক ইতিবাচক ধারা (সবুজ) দিয়ে শুরু হলেও বেশিক্ষন তা স্থায়ী হতে পারেনি। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে(ডিএসই) ২০ মিনিটের মাথায় সূচক নেগেটিভ (লাল) হয়ে যায়। দাম কমতে থাকে বেশিরভাগ কোম্পানির। এক্ষেত্রে ভালো-মন্দ বাছবিচার ছাড়াই দাম কমতে থাকে প্রায় সবখাতের শেয়ারের। বেলা সাড়ে এগারটা ও দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এক ঝলকের জন্য সূচকের উত্থান হল্ও এরপর পতন শুরু হয়।  শেষ মুহুর্তে আবার কিছুটা উত্থান দিয়ে লেনদেন শেষ হয়।

গতকালের পুঁজিবাজার ছিল মন্দা। লেনদেন ছিল কম। একক কোনো কোম্পানির আধিপত্য ছিল না। এদিন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বড় কোনো ভূমিকাও লক্ষ করা যায়নি। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বাজার মন্দা যাবে এমন ধারণার কারণেও বিক্রির চাপ বেশি ছিল। এট্ওা লেনদেন ও সূচক পতনের একটা বড় কারণ।

গতকাল টেক্সটাইল খাতে কিছুটা তেজিভাব থাকলেও অন্যকোনো খাত দাড়াতে পারেনি। ব্যাংকিং খাত মন্দাবস্থা কাটাতে পারেনি। বেশিরভাগ শেয়ারের দর পড়েছে। গত কয়েকদিনে ১০-২০ পয়সা করে কমতে কমতে এ খাতের শেয়ারের দাম সপ্তাহ শেষে কমেছে ৩-৫ শতাংশ। সবকিছু বিবেচনায় এ মুহুর্তে ব্যাংকিং খাতের শেয়ার বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত হলেও এখনও মন গলাতে পারেনি বিনিয়োগকারীদের। চাহিদা কম থাকায় বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়েনি, বরং কমেছে। এ খাতের বিনিয়োগকারীরা এ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। টানা কয়েকদিনের পতনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখন শংকিত। বাজারের ভবিষ্যত নিয়ে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে গতকালের পুঁজিবাজারে ছিল না কোনো খবর, গুজব বা দরবৃদ্ধির কল্পকাহিনী। টানা পতনের কারণে নতুন করে কেনার সাহস পাননি বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী। দুপুর ১২টার পর পরই অনেকেই মতিঝিল এলাকা ছাড়তে শুরু করেন। অনেক সিকিউরিটিজ হাউস দুপুর ১টার মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায়। দিনশেষে সূচক ১০ পয়েন্ট পড়লেও এ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। কারণ কেবল সূচকই পড়েনি, লেনদেন্ও অনেক কমে গেছে। দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেন হয় ৮৩০ কোটি টাকা।

এদিকে গতকাল বাজারে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছে বেক্সিমকো, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ইসলামী ব্যাংক ও অ্যাপোলো ইস্পাতের মতো কোম্পানিগুলো। যার কারনে বাজার ঘুরে দাড়াতে পারেনি। আলহাজ্জ টেক্সটাইলস, শাশা ডেনিমস, প্যাসিফিক ডেনিমস, মতিন স্পিনিং মিলের শেয়ারের দর বাড়ল্ওে সূচক পরিবর্তনে তারা খুব বেশি অবদান রাখতে পারেনি।