শেয়ার বিজ ডেস্ক: বড় ধরনের হামলায় সৌদি আরবের সামরিক বাহিনীর তিনটি ব্রিগেড পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এছাড়া কয়েক হাজার সেনা, সামরিক সরঞ্জাম ও সাঁজোয়া যান আটক করা হয়েছে বলেও তারা দাবি করেছে। তবে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। খবর: বিবিসি ও পার্স টুডে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে হুথি সংগঠনের মুখপাত্র কর্নেল ইয়াহিয়া সারিয়া বলেন, ইয়েমেন সীমান্তবর্তী সৌদি আরবের নাজরান শহরে ৭২ ঘণ্টাব্যাপী হামলাটি চালানো হয়। হামলায় ইয়েমেনের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো সমর্থন জুগিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হুথিরা সৌদি সেনাবাহিনীর বহু কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার সৈন্য, বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম এবং কয়েকশ সাঁজোয়া যান আটক করেছে। এ সময় আগ্রাসী বাহিনীর শতাধিক সেনা হতাহত হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর কয়েকটি বিশেষ ইউনিট, সেনাবাহিনী ও তাদের মিত্ররা এলাকায় হামলা চালিয়ে নাজরানের কয়েকশ’ বর্গকিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদির বড় দুটি তেল ক্ষেত্রে হামলা চালায় বলে দাবি করে হুথি বিদ্রোহীরা। তবে সৌদির অভিযোগ, তেল ক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সৌদির তেল উৎপাদন ব্যাহত হয়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম হু-হু করে বেড়ে যায়।
ইয়েমেনে ২০১৫ সাল থেকে যুদ্ধ চলছে। হুথিরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখলে নিলে প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদি ও তার মন্ত্রীরা পালিয়ে যান। প্রেসিডেন্ট হাদির সমর্থনে সৌদি আরব ও তার কয়েক মিত্র দেশ জোট গঠন করে ইরান-সমর্থিত হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। হুথিরাও সৌদি আরবকে লক্ষ করে মাঝেমধ্যে হামলা চালাচ্ছে।
ইয়েমেন যুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটি এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।