ক্রীড়া প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) অংশ নিতে খেলোয়াড়দের বিপ টেস্টে পাস করা বাধ্যতামূলক। এজন্য তাদের পেতে হবে ১১ মার্ক। কিন্তু গতকাল এ টেস্টের শুরুতেই দুঃসংবাদ পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও নাসির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তাই এ টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তারা।
গতকাল বিপ টেস্টে ৯.৬ পেয়ে পাস করতে ব্যর্থ হয়েছেন আশরাফুল। ৯.৭ পয়েন্ট পেয়ে একই অবস্থা নাসির হোসেনের। এদিকে নাদিফ চৌধুরী পেয়েছেন ১০.৪ পয়েন্ট। আর আরাফাত সানি সাকুল্যে পেয়েছেন ১০.৯ পয়েন্ট। যে কারণে আবারও আগামী ৪ অক্টোবর পরীক্ষা দিতে হবে তাদের। সেখানে পাস করলেই হয়তো তারা ছাড়পত্র পাবেন আসন্ন জাতীয় লিগে মাঠ মাতানোর।
আশরাফুল, নাসির, নাদিফ ও সানি ছাড়াও গতকাল বিপ টেস্ট দেন আবু হায়দার রনি, জাহিদুজ্জামান, সৈকত আলী, মার্শাল আইয়ুব, শামসুর রহমান, আল আমিন জুনিয়র, ইলিয়াস সানি, মেহেদি মারুফ, শুভাগত হোম, নাজমুল অপু, জুবায়ের লিখন, মোহাম্মদ শরিফ, আলী আহমেদ মানিক ও মোহাম্মদ শাকিল।
বিপ টেস্ট দেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পেয়েছেন জাহিদুজ্জামান (১২.৯)। এরপরই রয়েছেন পেসার মানিক (১২.৮), উইকেটরক্ষক শাকিল (১২.৬) ও মেহেদি মারুফ (১১.৮)। এছাড়া সৈকত আলী (১১.৪), মার্শাল আইয়ুব (১১.৪), শামসুর রহমান (১১.৩), আল আমিন জুনিয়র (১১.৩), শুভাগত হোম (১১), নাজমুল ইসলাম অপু (১১.১), জুবায়ের হোসেন লিখন (১১.২), আবু হায়দার রনি (১১.১) পাস করেছেন বিপ টেস্টে।
জাতীয় লিগে অংশগ্রহণের জন্য বিপ টেস্টের পাস মার্ক ১১-এর পরিবর্তে ১০.৪ কিংবা ১০.৫ করলে ক্রিকেটারদের জন্য আরও সহজ হতো বলে মনে করেন আশরাফুল, ‘যদি ১০.৪ কিংবা ১০.৫ হতো, তাহলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হতো।’
গতকাল বিপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে না পারলেও ফিটনেসে উন্নতির ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী আশরাফুল। আগামী ৪ অক্টোবর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। এর আগেই নিজেকে প্রস্তুত করতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদী সাবেক এ অধিনায়ক, ‘আমাকে টেস্টে ৯.৬ দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আরও ৭-৮ দিন ভালো অনুশীলন করলে উন্নতি করা যাবে। আবার ৪ তারিখে একটি সুযোগ আছে। এ ৩-৪ দিন ট্রেনিং এবং চেষ্টা করলে হয়তোবা আরও উন্নতি করতে পারব।’
আগামী ১০ অক্টোবর মাঠে গড়াবে এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। আসন্ন এ টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটাররা ফিটনেসের দিকেই বেশি মনোযোগী। তাদের লক্ষ্য, বিপ টেস্টে ১১ পয়েন্ট পেয়ে ঘরোয়া এ লিগে মাঠ মাতানো। এখন দেখার বিষয়, কঠিন এ কাজটি কারা ঠিকমতো করতে পারেন।
