নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকির অভিযোগে পৌনে তিন কোটি টাকার ‘হাকিমপুরী জর্দা’ জব্দ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম। মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাটের হিঙ্গুলীর আবছার ট্রেডার্সের একটি গুদামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব জর্দা আটক করা হয়। এরপর জর্দাভর্তি কার্টনগুলো চট্টগ্রাম সদরঘাট থানার পুরোনো কাস্টম এলাকায় ভ্যাট কমিশনারেটের গুদামে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৬১(৬) অনুযায়ী অনিয়ম/কর ফাঁকির মামলা (নম্বর-০২/২০২০) দায়ের করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক শেয়ার বিজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২৫৮ কার্টন ঢাকার কাউছ কেমিক্যাল ওয়ার্কসের তৈরি ‘হাকিমপুরী’ জর্দা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫০ গ্রামের ২১৬ কৌটার ১০০ কার্টন এবং ২৭৬ কৌটার ১৫৮ কার্টন জর্দা রয়েছে, যার মোট ওজন তিন হাজার ২৬০ দশমিক ৪০ কেজি। এসব জর্দার ক্রয়মূল্য ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ২০০ টাকা। এর সঙ্গে ভ্যাট হিসেবে ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক হিসেবে এক কোটি ৪৬ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ টাকা। সব মিলে চালানটির মূল্য দাঁড়ায় পৌনে তিন কোটি টাকার বেশি।
তিনি জানান, আটকের সময় প্রতিষ্ঠানের মালিককে পাওয়া যায়নি। তবে কর্মচারী মো. সুমন মজুমদার চালানের সপক্ষে কিছু ট্রাক চালান (ডেলিভারি চালান) ছাড়া মূসক ও সম্পূরক শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা ২০১৬-এর বিধি ৬০ (৩) ও বিধি ৮৪ অনুযায়ী ‘ক্রোক ও জব্দ তালিকা, মূসক ১২.৩’ মূলে জব্দ করে আনা হয়। প্রয়োজনীয় তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জব্দ করা জর্দা আইন অনুযায়ী নিলামে বিক্রি করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবচার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আবছার শেয়ার বিজকে জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় পণ্যগুলো আটক করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে চট্টগ্রাম। তিনি বলেন, ‘শুল্ক পরিশোধ না করায় পণ্যগুলোও বাজার মূল্য থেকে অনেক কম দামে ঢাকার বেগম বাজার থেকে ক্রয় করেছি। তিন হাজার ২৬০ কেজি জর্দা ক্রয় করেছি ১৫ লাখ টাকা দিয়ে।’
