নিজস্ব প্রতিবেদক: সীমিত পরিসরে সরকারি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সরকার। রোববার (২৬ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে সীমিত পরিসরে ১৮টি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত অফিসগুলো খোলার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশে ৫ মে চলমান সরকারি ছুটি চলাকালীন ১৮টি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোকে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করতে বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র মহামারি সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো খোলা থাকবে। মহামারি মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশ পালনের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত অফিসগুলোতেই কার্যক্রম চলবে। মহামারি মোকাবিলায় প্রয়োজন পড়লে যেকোনো মন্ত্রণালয় খোলা যেতে পারে।’
তবে এ বিষয়ে সংশোধিত কোন আদেশ জারি করা হয়নি। রোববার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সঞ্চয় অধিদপ্তরের সকল অফিস খোলার বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়। জনপ্রশাসন সংশোধিত আদেশ জারি হলে এনবিআর ও সঞ্চয় অফিস বন্ধ থাকবে। তবে এনবিআরের তিনটি নীতি শাখা (আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস) ও বাজেট শাখা খোলা রয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জরুরি সার্ভিসে যুক্ত ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সীমিত আকারে খোলা রাখার নির্দেশ দেয়।

জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘আগে ১৮টি মন্ত্রণালয় সীমিত আকারে খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমরা দেখছি, আরও মন্ত্রণালয়ের জরুরি কাজ থাকতে পারে। তাই সব মন্ত্রণালয়কে আলাদাভাবে চিঠি দিয়েছি—জরুরি কাজে সীমিত আকারে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সীমিত আকারে খোলা রাখার বিষয়ে।’
গত ২৩ এপ্রিলের চিঠিতে বলা হয়—প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দফতর সীমিত আকারে খোলা থাকবে।
এছাড়া অন্য সব সরকারি অফিসে কর্মরতদের নিজ কর্মস্থলে থাকতে বলা হয় ওই আদেশে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ জরুরি সেবার সঙ্গে যুক্ত, তারা নিজেরা সীমিত আকারে অফিস খোলা রেখে কাজ করবে। এছাড়া, যেসব মন্ত্রণালয়ের জরুরি প্রয়োজন রয়েছে, তারাও সীমিত আকারে অফিস খোলা রাখবে।
কয়েকটি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ৫ মে পর্যন্ত তাদের কার্যসূচি তৈরি করেছিল। কিন্তু নতুন নির্দেশনা অনুসারে সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।