জুন মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল মওকুফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবার জুন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নানা ভোগান্তির কথা আমাদের কানেও আসছে। কারও কোনো বাড়তি বিল করা হলে তা পরে সমন্বয় করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘এ সময় ঝুঁকি নিয়ে তাড়াতাড়ি করে বিল দিতে হবে না। আমরা জুন মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, এর আগে মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়েছিল। গত ২২ মার্চ ওই আদেশ দেওয়া হয়েছিল, যাতে মে মাস পর্যন্ত বিলম্ব মাশুল মওকুফের কথা বলা হয়। সে সময় বিদ্যুৎ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছিল, গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অনেক গ্রাহকই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকরা ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিল পরিশোধ করতে পারবেন না বলে প্রতীয়মান হয়। ফলে এই তিন মাসে বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনো বিলম্ব মাশুল বা সারচার্জ দিতে হবে না।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এবারের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। এর মধ্যে ২৪ হাজার কোটি টাকা বিদ্যুতে ও দুই হাজার কোটি টাকা জ্বালানিতে বরাদ্দ থাকছে।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে সঞ্চালন লাইনকে গুরুত্ব এবং জ্বালানিতে গ্যাস অনুসন্ধানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। আসন্ন বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

এর আগে সংসদে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন দেওয়া হবে। প্রতিবছরই বাজেট পেশ করার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেওয়ার সুবিধার্থে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক আয়োজন এবং রাষ্ট্রপতির সুপারিশ নেওয়ার সুবিধার্থে সংসদ ভবনে তার উপস্থিতির ব্যবস্থা করা হয়।