শেয়ার বিজ ডেস্ক : ভারত সরকার মস্কোর কাছ থেকে ‘মিগ-২৯’ ও ‘সুখোই-৩০’ জঙ্গিবিমান কেনার চেষ্টা করছে। চীনের সঙ্গে সীমান্ত-উত্তেজনার মধ্যে নয়াদিল্লি এ প্রচেষ্টা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে মস্কো থেকে প্রকাশিত পত্রিকা কমেরস্যান্ত। রাশিয়ার একাধিক সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং ও ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে ভারত দ্রুততম সময়ের মধ্যে রুশ অস্ত্র হস্তগত করতে চায়। খবর: পার্স টুডে।
কমেরস্যাস্ত আরও লিখেছে, ভারত এর আগে রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার যে চুক্তি করেছিল, তারও দ্রুততম বাস্তবায়ন চায় নয়াদিল্লি। ওই চুক্তির ভিত্তিতে গত বছর ভারত রাশিয়াকে ৫০ কোটি ডলার পরিশোধও করেছিল।
রাশিয়ার সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা-বিষয়ক ফেডারেল সংস্থার প্রধান দিমিত্রি শুগায়েভ অবশ্য গত বছর বলেছিলেন, ভারত এস-৪০০-এর প্রথম চালান ২০২১ সালে হাতে পাবে। কিন্তু রুশ দৈনিকটি লিখেছে, ভারত এখন চলতি বছরের শেষ নাগাদই এস-৪০০ পেতে চায়।
এদিকে আগামী নভেম্বরে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর এ জোটের সম্মেলনে চীন ও ভারত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে লাদাখে দুই দেশের সংঘাতের পর সৌদি আরবেই প্রথমবারের মতো পরস্পরের মুখোমুখি হবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জি-২০ সম্মেলনে দেখা হলেও দুই নেতার মধ্যে পৃথক বৈঠক হবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত। এর আগে ২০১৭ সালের জি-২০ সম্মেলনেও দুই নেতার মধ্যে আলাদা করে কোনো বৈঠক হয়নি। এর আগে রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে মিলিত হলেও চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অনীহা প্রকাশ করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশ্লেষকরা বলছেন, ওই বৈঠক থেকে কোনো ইতিবাচক ফল আনতে না পারলে নিজ দেশে সমালোচিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই এমন অনীহা রাজনাথের। ফলে পাখির চোখ এখন জি-২০ সম্মেলনে।
অন্যদিকে কাশ্মীরের লাদাখে চীনা বাহিনীর হাতে অন্তত ২৩ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হচ্ছে। সহস্রাধিক চীনা পণ্যের একটি তালিকা করেছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন সেই তালিকা নিয়ে দেশীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলছে তারা।
সূত্র জানিয়েছে, এ তালিকায় থাকা কোনোটিই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নয়।