জরুরি প্রয়োজনে ভার্চুয়াল আদালতের পক্ষে সংসদীয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শুধু করোনা মহামারিতে নয়, বিশেষ প্রয়োজনে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়-বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। উচ্চ আদালত প্রয়োজন মনে করলেই জরুরি প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সেভাবেই আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।

গতকাল সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ রকম সুপারিশ করা হয়। সংসদে বিলটি আসার পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং আইন বিশেষজ্ঞদের মত নিয়ে এই সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে এই আইনটি প্রয়োগ করার বিষয়ে সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছে। কোনো মহামারি, জরুরি প্রয়োজন বা নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠলে যেন উচ্চ আদালত এ আইন প্রয়োগ করতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মতিন খসরু জানান, সংসদীয় কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম, আবদুল বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ কয়েকজন লিখিত মতামত পাঠিয়েছেন।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল মজিদ খান, শহীদুজ্জামান সরকার, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব নরেন দাস, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দেশে করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতিতে বিলটি উত্থাপনের প্রেক্ষাপট, বিলটি প্রয়োগের ক্ষেত্র, সীমাবদ্ধতা, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে এ বিলের সামঞ্জস্য ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বক্তব্য দেন কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

অপরদিকে সংসদীয় কমিটির এই বৈঠকের দিনই ঢাকা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রতিষ্ঠার আইন না করার জন্য সংসদীয় কমিটিকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারি ছড়ানো ঠেকাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে যেভাবে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে, তাতে দেশের ‘ঐতিহ্যবাহী’ বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।