নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্দরে পণ্য আসার পরে প্রয়োজনীয় শুল্ক পরিশোধের পর ব্যাংকে তা প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়। এটিকে বিল অব এন্ট্রি বলে। ব্যাংক এই কাগজের আলোকে বিদেশে আমদানি দায় পরিশোধ করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পণ্য দেশে না এলেও আমদানিকারক ভুয়া কাগজ দেখিয়ে দায় পরিশোধ করেছে। এভাবে অর্থ পাচারের ঘটনা বন্ধে এখন থেকে ব্যাংকই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমদানির নথি সংগ্রহ করে দায় পরিশোধ করবে।
গতকাল এমন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে বিদেশ থেকে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের
সব তথ্য সংগ্রহ করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব বন্দরে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে আমদানি তথ্য সংরক্ষণ করা হয়, সেখান থেকে ব্যাংক এই তথ্য সংগ্রহ করবে। পরে সব বন্দরের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
জানা গেছে, পণ্য আমদানি সহজ করতে ও ভোগান্তি কমাতে এটি চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করোনাকালে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, এখন থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থেকে বিল অব এন্ট্রি সংগ্রহ করবে আমদানিকারক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। আমদানির বিপরীতে যে মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে, তা মিলিয়ে দেখবে। এ ক্ষেত্রে শুল্ক-কর পরিশোধের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে ব্যাংকগুলোকে। এই সুবিধা শুধু স্বয়ংক্রিয় (কম্পিউটারাইজড) ব্যবস্থায় পরিচালিত শুল্ক স্টেশনের জন্য প্রযোজ্য হবে।
বাইরে থেকে যে কোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে গ্রাহককে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেওয়া আমদানি ম্যাচিং ফরমে (আইএমপি) ঘোষণা দিতে হয়। সেখানে আমদানি পণ্যের বিবরণ, মূল্য, উৎস দেশ প্রভৃতি তথ্য উল্লেখ করা থাকে। আমদানি হওয়ার পর ঘোষণার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।
জানা যায়, শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে খালাস ও শুল্কায়িত পণ্যর বিল অব এন্ট্রি সংরক্ষিত থাকে। ওই তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যাংকগুলো নিজেই বিল অব এন্ট্রি সংগ্রহ করে আইএমপি ফরমের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে পারবে।
আমদানি দায় পরিশোধের বিপরীতে পণ্য দেশে আসা নিশ্চিতে কাগুজে বিল অব এন্ট্রি দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই দলিল দাখিল না করলে আমদানিকারক পরবর্তী সময়ে পণ্য আমদানি করতে পারে না। পণ্য আমদানির নামে যাতে দেশের বাইরে অর্থ পাচার না হয়, সেজন্যই এসব নিয়ম চালু রয়েছে।