নবজাতককে মায়ের দুধ খাওয়ানোয় সতর্কতা

মা কিংবা মা হওয়ার অপেক্ষায় থাকা নারীদের করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কভিড-১৯) মহামারি থেকে সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ কী, সে প্রশ্ন আসবেই।

শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর স্বপক্ষে বহু প্রমাণ রয়েছে। সংস্পর্শ এবং শুরুতেই ও পুরো মাত্রায় বুকের দুধ খাওয়ানো আপনার শিশুর বিকাশে সহায়তা করবে। এ মহামারির মধ্যে তা বন্ধ করার কোনো কারণ নেই। এখন পর্যন্ত মায়ের দুধ এবং তা খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে কভিড-১৯ যা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

খুব অল্প সময়ের মধ্যে যদি সন্তান হওয়ার কথা থাকে, তাহলে নিরাপদে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো, তাকে ত্বকের সংস্পর্শে নেওয়া এবং শিশুকে নিয়ে এক কক্ষে থাকতে সহায়তা করা উচিত।

মা ও সন্তানকে নিরাপদ রাখতে সহায়তার জন্য নতুন মা ও হবু মায়েদের কাছ থেকে আসা কিছু সাধারণ প্রশ্ন এখানে তুলে ধরা হলো।  এতে মা সুস্থ বোধ করবেন। কভিড-১৯ এর লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দিক, মা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সফল হবেন।

মহামারীর সময় কি মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত?

মায়ের দুধে অ্যান্টিবডি থাকে যা শিশুর শারীরিক বিকাশ ত্বরান্বিত করে এবং তাকে অনেক ধরনের রোগ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। শিশু কভিড-১৯ আক্রান্ত হলে মায়ের দুধে থাকা অ্যান্টিবডি এবং ল্যাক্টোফেরিন, ল্যাকটাডহেরিন, এপিডারমাল গ্রোথ ফ্যাক্টর ও এরিথ্রোপোইটিনের মতো বায়ো-অ্যাকটিভ ফ্যাক্টরগুলো এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে।

শিশুর বয়স ছয় মাস বা তার কম হলে তাকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত। সন্তানের বয়স ছয় মাসের বেশি হলে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর সম্পূরক খাবারের সঙ্গে মায়ের দুধ দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।

এখন পর্যন্ত মায়ের দুধ এবং তা খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে কভিড-১৯ সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে গবেষকরা এখনও বুকের দুধ নিয়ে কাজ করছেন।

নবজাতককে কাছে রাখতে হবে যাতে দ্রুতই মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করা যায়, যা নবজাতকের মৃত্যু হারও কমিয়ে দেয়। সন্তান জন্মের প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই ভূমিষ্ঠ শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে