শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গবেষণা, উৎপাদন এবং সুষ্ঠুভাবে বিতরণের লক্ষ্যে ‘কভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্ল্যোবাল অ্যাক্সেস (কোভ্যাক্স) নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ইতোমধ্যে ১৭০টিরও বেশি দেশ এতে অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে। তবে বৈশ্বিক এ উদ্যোগে যোগ দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, করোনা মহামারি তারা একাই মোকাবিলা করবে। খবর: দ্য ফিলাডেলফিয়া ইনেকোয়ারার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স পরিকল্পনার সঙ্গে রয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশসন (সিইপিআই) এবং গ্যাভি দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের মতো আন্তর্জাতিক জোট। এতে যোগ দিয়েছে জাপান, জার্মানি, ইউরোপিয়ান কমিশনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্ররাও।
তবে এ উদ্যোগের সঙ্গে ডব্লিউএইচও যুক্ত থাকায় তাতে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জুড ডিয়ার বলেন, ‘এ ভাইরাসকে পরাজিত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে থাকবে। তবে আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং চীন প্রভাবিত বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর কাছে বাঁধা থাকব না।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির বৈশ্বিক স্বাস্থ্য আইন বিষয়ের অধ্যাপক লরেন্স গস্টিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একা চলার পরিকল্পনা নিয়ে অনেক বড় জুয়া খেলছে।’ ডার্টমাউথের গিজেল স্কুল অব মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক কেন্ডাল হোৎ বলেন, ‘এটি অনেকটা বিমা থেকে বের হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে পারে এবং একইসঙ্গে কোভ্যাক্সেও অংশ নিতে পারে। সাধারণ ঝুঁকি বিবেচনার দিক থেকে এটি (কোভাক্সে যোগ না দেওয়া) খুবই অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপটি বিশ্বের অন্য স্থানগুলোতে ভ্যাকসিন নিয়ে কী ঘটবে তার ওপরও প্রভাব ফেলবে। কোভাক্সের মূল ধারণায় গোপনে ভ্যাকসিন মজুতকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং প্রতিটি দেশে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের প্রথমে ভ্যাকসিন দেয়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এমন এক কৌশল যা স্বাস্থ্যসেবায় উন্নত ফলাফল এবং কম খরচের পথ দেখাতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র অংশ না নেওয়ায় কাজটি কিছুটা কঠিনই হয়ে যাবে।