শুভ্র শচীন, খুলনা: খুলনায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গায় স্থাপিত অবৈধ বিলবোর্ডের ভাড়া আদায় করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। এ নিয়ে দুই দফতরের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। কেসিসি’র আপত্তিতে ট্রাফিক আইল্যান্ড এবং সড়কের পাশের শতাধিক অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণ করতে পারছে না সওজ কর্তৃপক্ষ।
সওজের তালিকা অনুযায়ী, ৬০ কিলোমিটার সড়কে ১২১টি বড় বড় অবৈধ বিলবোর্ড স্থাপন করেছে বিভিন্ন কোম্পানি। নগরীর রেলগেট মোড়, দৌলতপুর বাজার মোড়, ট্রাফিক মোড়, বিএল কলেজ গেট, নতুন রাস্তার মোড়, নেছারিয়া মাদরাসা, বয়রা কলেজ মোড়, জোড়াগেট মোড়, নিউমার্কেট মোড়, শিববাড়ী মোড়, মীনাবাজার মোড়, ফেরিঘাট মোড়, ডাকবাংলা মোড়সহ নগরজুড়ে বিভিন্ন স্থানে এসব বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। তালিকায় উল্লেখ করা এসব বিলবোর্ডের মধ্যে রয়েছে মিনিপোল, ইউনিপোল, ওভার হেড ও বিলবোর্ড। তালিকায় ২৭টি কোম্পানিসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সওজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো অনুমতি না নিয়েই বিলবোর্ড ও মিনিবোর্ড স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে। সওজ কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব বিলবোর্ড থেকে নিয়মিত ট্যাক্স নিচ্ছে খুলনা সিটি করপোরেশন। যে কারণে ওইসব কোম্পানিকে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তাদের বিলবোর্ড অপসারণ করেনি। নিরাপদ সড়ক ও নির্বিঘেœ যান চলাচলের লক্ষ্যে সওজ’র জায়গায় স্থাপিত ওইসব বিলবোর্ড অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা সওজ।
খুলনা সওজ’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন কায়ছার জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপথের জায়গায় এসব অবৈধ বিলবোর্ড স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে ব্যস্ততম এসব সড়কে যান চলাচলে বিঘœ ঘটে। এসব বিলবোর্ডের কারণে যানবাহনের জন্য গতি নির্দেশকও দেখা যায় না। বাঁক থাকলে বুঝতে পারে না গাড়ির চালক। ফলে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই জনজীবনের নিরাপত্তার স্বার্থেই এসব বিলবোর্ড অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সওজ বিভাগ। সে লক্ষ্যে অবৈধ স্থাপনার একটি তালিকা করা হয়েছে। এদিকে নগরীর মধ্যে এসব বিলবোর্ড স্থাপন করায় কেসিসি এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ট্যাক্স আদায় করছে। যে কারণে অনেক সময় তারা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে পারেন না।
কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিধিমালাতেই রয়েছে সিটি করপোরেশনের মধ্যে কোনো বিলবোর্ড স্থাপন করা হলে তার ভাড়া আদায় করবে করপোরেশন। কেসিসি নিয়ম মেনেই ভাড়া আদায় করছে।