কভিডের দ্বিতীয় প্রবাহে সতর্কতা জরুরি

কভিডকালে নিরাপদে থাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় কাপড়ের মাস্কের ব্যবহার বেশি। কিন্তু যথানিয়মে ব্যবহার না করলে নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়। তাই কাপড়ের মাস্কের (সার্জিক্যাল নয়) ব্যবহারের কৌশল ভালোভাবে জানতে হবে।

করণীয়: ১. ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন; ২. মাস্কটি নোংরা বা নষ্ট কি না, পরীক্ষা করুন; ৩. মাস্ক এমনভাবে পরতে হবে, যেন কোনো ফাঁক না থাকে; ৪. মাস্ক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন; ৫. মাস্ক খোলার আগে হাত পরিষ্কার করুন; ৬. ফিতা ধরে মাস্কটি খুলতে হবে; ৭. মাস্কটি খুলে নিরাপদ স্থানে রাখুন; ৮. দিনে কমপক্ষে একবার সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে মাস্ক পরিষ্কার করুন; ৯. মাস্ক খোলার পর হাত ধুয়ে নিন।

যা করা যাবে না:  ১. নষ্ট মাস্ক ব্যবহার করবেন না; ২. ঢিলেঢালা মাস্ক ব্যবহার করবেন না; ৩. নাকের নিচে মাস্ক পরবেন না; ৪. আপনার ১ মিটারের মধ্যে কেউ থাকলে মাস্ক খুলবেন না; ৫. ভেজা বা নোংরা মাস্ক পরবেন না; ৬. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অন্যদের থেকে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সাবান-পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন এবং মাস্কে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন; ৭. শিশুদের কাপড়ের মাস্ক পরার কৌশল শিখিয়ে দিন।

মাস্ক ব্যবহারে সতর্কতা: নিজেকে ও অন্যদের রক্ষা করতে সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখুন, চারপাশে থাকা অন্যদের থেকে কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। মুখে ও মাস্কে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। সঠিক প্রক্রিয়ায় মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্ক স্পর্শ করার আগে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। মাস্কটি নোংরা বা নষ্ট কি না, পরীক্ষা করতে হবে। মুখের ত্বকের ওপর মাস্কের কোনো অংশটি থাকবে এবং কোন অংশটি নাক ঢেকে রাখবে, তা চিহ্নিত করতে হবে। মাস্ক এমনভাবে পরতে হবে, যেন কোনো ফাঁক না থাকে। মাস্কে মুখ, নাক ও থুতনি ঢেকে রাখতে হবে। মাস্ক স্পর্শ করা যাবে না। মাস্ক খোলার আগে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ফিতা ধরে মাস্ক খুলতে হবে। মুখ বন্ধ করা যায়, এমন একটি পরিষ্কার প্লাস্টিকের ব্যাগে মাস্কটি রাখতে হবে। মাস্ক খোলার পর হাত ধুতে হবে। দিনে কমপক্ষে একবার সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে মাস্ক ধুয়ে ফেলতে হবে। ধোয়ার সময় গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। মাস্ক অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যাবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অবলম্বনে