প্রতিনিধি, যশোর: বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী খালেদুর রহমান টিটো (৭৬) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল রোববার দুপুরে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ১০টায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে টিটোকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তার মেজ ছেলে অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান জিউস জানান, ফুসফুসে ইনফেকশনজনিত কারণে তিন দিন আগে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সকাল ১০টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় পরিচর্যায় থাকা অবস্থায় দুপুরে তিনি ইন্তেকাল করেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী খালেদুর রহমান টিটো একসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এরশাদ সরকারের শেষ সময়ে ১৯৯০ সালের মে মাসে তিনি শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে যশোর-৩ (সদর) আসন থেকে তারই বাল্যবন্ধু তরিকুল ইসলামকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৩ সালে যশোর এমএম কলেজে পড়ার সময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়নে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় খালেদুর রহমান টিটোর। কলেজজীবন শেষে ১৯৬৭ সালে তিনি শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৯ সালের শেষদিকে কৃষক আন্দোলন জোরদার করতে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৪ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগদান করে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
১৯৮৪ সালে যশোর পৌরসভার নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। দু’বছর পর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন এবং ১৯৯১ সালের শেষ দিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হয়ে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে খালেদুর রহমান টিটোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি তার পরিবার-পরিজন, রাজনৈতিক সহকর্মী ও কর্মী-সমর্থকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।