লেনদেনে ৪১ শতাংশ অবদান তিন খাতের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে গতকাল সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয় পুঁজিবাজারের লেনদেন। দিন শেষে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের অবস্থান হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৩২ পয়েন্টে। পাশাপাশি বাড়তে দেখা গেছে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। ডিএসইতে মোট ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমে এবং অপরিবর্তিত ছিল ১২২টির দর।

এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, খাতভিত্তিক লেনদেনে আগের কার্যদিবসগুলোর মতো এগিয়ে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখা যায় ১৭ শতাংশ। মোট লেনদেনে পরের অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। এই খাতের অবদান দেখা যায় ১৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল টেলিকমিউনিকেশন খাত। গতকাল এ খাতের অবদান দেখা যায় ১১ শতাংশ। অর্থাৎ মোট লেনদেনে তিন খাতের অবদান দেখা যায় ৪১ শতাংশ।

অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট ৬২৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে ২৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৯টি কোম্পানি। এসব কোম্পানির ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ৬০৯টি শেয়ার ৪৬ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২৩ কোটি টাকার লেনদেন হতে দেখা যায়।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইউনাইটেড পাওয়ারের পাঁচ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার টাকার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এসকে ট্রিমসের।

এছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লের এক কোটি ৩৯ লাখ টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের এক কোটি ৯৬ লাখ টাকার, গ্রামীণফোনের ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, কহিনুর কেমিক্যালের ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, এমারাল্ড অয়েলের ২৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকার, জেনেক্সের ২৮ লাখ ১৯ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ছয় লাখ ৭১ হাজার টাকার, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের আট লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।