নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে এখনও ৫৪ শতাংশ মানুষ টেলিযোগাযোগ সেবার বাইরে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের ৫২ বছর পূর্তিতে বিশ্বে তিন দশমিক সাত বিলিয়ন, অর্থাৎ জনগোষ্ঠীর অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। আর ডিজিটাল বাংলাদেশের ১২ বছর পূর্তিতে দেশে মুঠোফোনের গ্রাহক ১৭ কোটি ৪৬ লাখ ২৭ হাজার। তাদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১১ কোটি ২৭ লাখ ১৫ হাজার। এখানেও বর্তমান জনগোষ্ঠীর অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। টেলিযোগাযোগ সেবার বাইরে রয়েছে এখনও ৫৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী।
টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে সহজলভ্য, নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ সেবার ধীরগতি উচ্চমূল্য ও নিরাপত্তা গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে ফেলছে। গ্রাহকের অজান্তে অর্থ লুটপাট, আইন ও সংবিধান অমান্য করে গ্রাহকের তথ্য চুরি এবং প্রকাশ করা হয়। নানা সংকট গ্রাহককে চরম অনিশ্চয়তায় ফেলছে। তবু মহামারির মধ্যে জীবন-জীবিকা, দেশের অর্থনীতি, সামাজিক ও পারিবারিক যোগাযোগ এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবা লকডাউনের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে।
বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাত শিক্ষা ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা খরচে উন্নতমানের ডিভাইস ও সহজলভ্য নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই। এ সময় তিনি করোনা মহামারির মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান ও কর্মী টেলিযোগাযোগ সেবাদানে নিরলস কাজ করে গেছেন তাদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। এছাড়া যেসব গ্রাহক টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবা ব্যবহার করে নিজ ও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানান।
গ্রাহকদের উদ্দেশে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, আসুন আমরা টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবা নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করি। এ সেবা সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিজ ও দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করে যাব। এ সেবার অপব্যবহার রোধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।