সাবেক সংসদ সদস্য আউয়াল দুদিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার পল্লবী থানার চাঁদাবাজি মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়ালসহ দুজনকে দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। অন্য রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মোহাম্মদ টিটু।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, চাঁদাবাজির অভিযোগে গত মাসে সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা হয়। এ মামলায় আউয়ালসহ দুজনকে পাঁচদিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত দুজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৬ মে পল্লবীর সাহিনুদ্দিন খান (৩৩) হত্যা মামলার আসামি আউয়ালকে কারাগারে পাঠান আদালত। সাহিনুদ্দিন ১৬ মে বিকালে সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন। এ সময় পূর্বপরিচিত দুই ব্যক্তি মুঠোফোনে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবীর ডি ব্লকে ডাকেন জমিজমা নিয়ে বিবাদ মীমাংসার জন্য। সাহিনুদ্দিন সেখানে গেলে ছেলের সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে দুই তরুণ দুই পাশ থেকে সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছে। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারীদের একজন চলে যায়। অন্যজন ওই ব্যক্তির ঘাড়ে কোপাতে থাকে মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত। পরে পুলিশ ফুটেজ দেখে একজনকে মানিক ও অন্যজনকে মনির বলে শনাক্ত করে।

এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন। সম্প্রতি গভীর রাতে রূপনগর থানার ইস্টার্ন হাউজিংয়ে র?্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক নিহত হয়। আর সাগুফতা হাউজিং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ‘গোলাগুলির’ সময় মনির নিহত হয়।

পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের বুড়িরটেকে (আলীনগর) সাহিনুদ্দিন ও তাদের স্বজনদের ১০ একর জমি রয়েছে। সাহিনের মা আকলিমা বেগমের অভিযোগ, তাদের জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে আউয়াল ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, গত বছর নভেম্বরেও সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করেছিল। সেই ঘটনায় করা মামলায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। উল্টো আউয়ালের দেয়া মিথ্যা মামলায় সাহিনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। খুন হওয়ার কয়েক দিন আগে সাহিনুদ্দিন জামিনে মুক্তি পান।