ইউরোপে কভিডের তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য: ডব্লিউএইচও

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউরোপজুড়ে কভিডের সংক্রমণ কমে আসায় হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। ইউরোপে  প্রায় ১০ সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ নি¤œমুখী গতি ছিল। তবে ফের বাড়তে শুরু করছে কভিডের নতুন ধরন। এ অবস্থায় ইউরোপের নাগরিক এবং আইনপ্রণেতারা যদি সুশৃঙ্খল না থাকেন তাহলে কভিড সংক্রমণের নতুন ঢেউ অনিবার্য বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপের প্রধান হ্যান ক্লুগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন।  খবর: বিবিসি।

হ্যান ক্লুগে বলেছেন, অবাধ চলাফেরা, ভ্রমণ, জনসমাগম এবং সামাজিক বিধিনিষেধ শিথিলের কারণে গত সপ্তাহে ইউরোপজুড়ে কভিডের নতুন সংক্রমণ প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুত বদলে যাওয়ার পরিস্থিতির কারণে কভিডের সংক্রমণের এ নতুন উত্থান দেখা যাচ্ছে। কভিডের নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এ অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চমৎকার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও লাখ লাখ মানুষ এখনও টিকা পাননি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ না হলে ইউরোপীয় অঞ্চলে কভিডের নতুন আরেকটি ঢেউ আসবে।

ডেল্টা ছড়িয়েছে ১০০ দেশে: এদিকে, ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া কভিডের ডেল্টা ধরন এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ দেশে ছড়িয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলছে, আগামী মাসগুলোতে কভিডের অতিসংক্রামক এ ধরন বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করবে।  

সাপ্তাহিক হালনাগাদ তথ্যে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, গত ২৯ জুন পর্যন্ত বিশ্বের ৯৬টি দেশে ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়েছে। তবে নতুন ধরন শনাক্তে সিকোয়েন্সিং ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে হয়তো অনেক দেশে ছড়ালেও তা জানা যায়নি।

কভিডের নতুন এ ধরনটি যেসব দেশে শনাক্ত হয়েছে সেসব দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে জানিয়ে সংস্থাটি আরও বলেছে, এতে করে এসব দেশে আক্রান্ত-মৃত্যুর সঙ্গে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। 

ডব্লিউএইচও বলছে, আলফা (প্রথম শনাক্ত হয় ব্রিটেনে) ধরন ১৭২টি দেশে, বেটা (প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়) ১২০টি দেশে, ডেল্টা (প্রথম শনাক্ত হয় ভারতে) ৯৬টি দেশে এবং গামা (প্রথম শনাক্ত হয় ব্রাজিলে) ধরন ৭২ দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।