চুয়াডাঙ্গায় নতুন রোগীর সিংহভাগ সদর ও দামুড়হুদার

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ‘লকডাউন’ চলছে। লকডাউনের প্রথম দিন জেলায় পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬৩ জন, যা নমুনা পরীক্ষার ২০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪১ জন, যা নমুনা পরীক্ষার শতকরা ৪৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে একযোগে কাজ করছেন জন প্রতিনিধিরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কভিড-সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় কভিডে আক্রান্ত আরও ৩৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সদর উপজেলার ১৭, আলমডাঙ্গা উপজেলায় চার, দামুড়হুদা উপজেলায় ১৩ ও জীবননগর উপজেলার তিনজন।

এ নিয়ে জেলায় দুই হাজার ১৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৪৩ জন। বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন ২৪১ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২১৫ জন। হাসপাতালে ২৩ ও ঢাকায় রেফার্ডে রয়েছেন তিনজন।

এদিকে যেসব বাড়িতে কভিড রোগী রয়েছেন, সেসব বাড়িতে লাল পতাকা লাগিয়ে সতর্ক করার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তবু সব ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ইন্সপেক্টর বলেছেন, অনেকের বাড়িতে লাল পতাকা লাগাতে গেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এদিকে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের সপ্তম দিন গতকালও চুয়াডাঙ্গায় কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। সড়কগুলোয় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি। সকাল থেকে জেলার প্রবেশ পথগুলোয় চেকপোস্ট বসিয়ে তদারকি করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অপ্রয়োজনে বাইরে আসা ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের জরিমানা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফিরোজ হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৮টি মামলায় ৫২ জনকে ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুজনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। লকডাউন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়মিত টহল অব্যাহত রেখেছেন চার প্লাটুন সেনাবাহিনী, তিন প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

গতকাল স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা ছিল। সব শপিংমল, দোকান ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি ছিল অন্য দিনের চেয়ে বেশি।