নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে বেশিরভাগ শেয়ারদর ও সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে; একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে। লেনদেনের সঙ্গে গেল সপ্তাহের বাজার মূলধন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে আর গত সপ্তাহেও চার কার্যদিবস লেনদেন হয়। এর মধ্যে সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে সূচকের মিশ্র প্রবণতা ছিল। আর বাকি দু’দিন সূচক বেড়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের মিশ্র প্রবণতায় মোট লেনদেন কমেছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা এক দশমিক শূন্য এক শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ২১২ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ২৬ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা দুই দশমিক শূন্য চার শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৩৪১ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএস৩০ সূচক ৩৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ২৪৮ দশমিক ২১ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৮০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩০টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১০ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি চারটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ৬০২ কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৩৪৭ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ৪০৬ কোটি ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪০৮ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ১৯৬ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার টাকা বা ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ছয় হাজার ৪১০ কোটি ৭০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল পাঁচ হাজার ৬২৪ কোটি ৬৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার বেড়েছে ৭৮৬ কোটি চার লাখ ৪৭ হাজার টাকা যা শতাংশের হিসেবে ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ১৮২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ২৮২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ বা দুই হাজার ৯০০ কোটি চার লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। তালিকায় এর পরের অবস্থানগুলোতে থাকা রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোং বিডি লিমিটেডের দর ৩১ দশমিক ১১ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ২৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আমান ফিডের ২৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিটি মধ্যে ছিল সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড, অ্যাপোলো ইস্পাত, ইনফরমেশন সার্ভিসে নেটওয়ার্ক, বীকন ফার্মা, আইটি কনসালট্যান্ট ও সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
ডিএসইতে টার্নওভারের দিক থেকে শীর্ষ ছিল বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। লাফার্জহোলসিম, কেয়া কসমেটিকস, এমএল ডায়িং, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।
অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৩৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২১৩টির, কমেছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১২টির দর।
সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে এক দশমিক শূন্য আট শতাংশ। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক এক দশমিক ১৬ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক বেড়েছে এক দশমিক ৪১ শতাংশ, সিএসআই সূচক দুই দশমিক ৭৩ শতাংশ।