নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড প্রশংসনীয় উৎপাদন অনুশীলন বা ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি)’ সনদ পেয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক নোটিসের জবাবে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ওষুধের জন্য বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে সিরিয়ান আরব রিপাবলিক থেকে এই জিএমপি সনদ দেয়া হয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর সাত দশমিক ২৭ শতাংশ বা ১৪ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২১৩ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে চার লাখ ৭৪ হাজার ৯১টি শেয়ার এক হাজার ১৯৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ কোটি আট লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২০২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২১৯ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৩৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩১ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৩২ কোটি আট লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৩ কোটি ১০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ছয় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৫ পয়সা, আগের বছর ছিল ৫১ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা চার পয়সা, আগের বছর একই তারিখে ছিল ১২ টাকা ৯০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ২৬ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯৫ পয়সা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বাজার দরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১২৯ দশমিক ৬৪ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজার দরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত ৪৯ দশমিক শূন্য ছয়।