নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের সদস্য ও কালরাত্রিতে নিহত সকল শহীদদের শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করেছে জাতি। জাতির পিতার, তার পরিবারের সদস্য ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ব্যতিক্রমী কর্মসূচী পালন করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, যশোর।
চলছে করোনা মহামারি। মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবহন খাত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বন্ধ ছিলো পরিবহন খাত। ফলে এ খাতের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই এবারের জাতীয় শোক দিবসে পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে এই কমিশনারেট। দুই শতাধিক পরিবহন শ্রমিককে জীবন ধারনের জন্য অপরিহার্য চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, লবন, আলু ও সাবান দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ আগস্ট) যশোর ভ্যাট কমিশনারেটে শ্রমিকদের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, যশোর এর কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত কমিশনার মো. ফজলুল হক, যুগ্ম কমিশনার নাহিদ নওশাদ মুকুলসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন। করোনা ঝুঁকি রোধে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শ্রমিকদের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন ১৫ আগস্টে ঘাতকদের হাতে নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করেন। তিনি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি মিলতো না। তিনি সারা জীবন অবহেলিত, খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে গেছে। দেশের উন্নয়নের অক্সিজেন রাজস্ব আহরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রতিষ্ঠা করেছেন। এনবিআরের আহরিত রাজস্ব দিয়েই আজকের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবহন খাত। এই খাতের শ্রমিকরা মানবতের জীবনযাপন করছেন। তাই জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এই কমিশনারেট সামান্য কিছু শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়েছে। সাধ্য থাকলে সব শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতো এই কমিশনারেট।
অপরদিকে, মহামারির এই সময়ে খাদ্য সহযোগিতা পেয়ে এনবিআর তথা যশোর ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশংসা করেন সহায়তাপ্রাপ্ত শ্রমিকরা। তারা জাতির পিতা ও তার পরিবারের নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।