প্রচলিত উন্নয়ন মডেলে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে উন্নয়নের যে মডেল অনুসৃত হচ্ছে, তাতে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মন্ত্রী বলেন, বৈষয়িক বাস্তবতার আলোকে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে, সংগত কারণে এতে বৈষম্য বাড়ছে। তবে বাস্তবতা বিবেচনায় এটা অনুসরণ না করার কোনো বিকল্প নেই। এম এ মান্নান বলেন, ‘মনে হয় না উই আর রং বাট উই আর ট্র্যাপড ইন দ্যাট স্পিড, যেখানে ইনিশিয়ালি বৈষম্য বাড়ার কথা। তিনি বলেন, বৈষম্য খুব সহসা কমবে, এমন সম্ভাবনা কম।’

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখা’ শীর্ষক এক স্মরণসভায় গতকাল ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দু-একবার কাছ থেকে দেখেছি, কিন্তু তার সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়নি। আমার দেখামতে, দেশরতœ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাঁটছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করে আমার এ রকমই মনে হয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি শহরের সঙ্গে গ্রামের বৈষম্য কমাতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই কাজগুলোই বর্তমানে বাস্তবায়ন করছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্রাম উন্নয়নের এক সামষ্টিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর এ কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলো ছিল গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, গ্রাম সমবায়, কুটিরশিল্প স্থাপন, চাষাবাদ পদ্ধতির আধুনিকায়ন করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষকের জন্য শস্যের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ। গ্রাম উন্নয়ন, কৃষির উন্নয়ন, মেহনতি মানুষের আয় ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর ভাবনায়। বঙ্গবন্ধু গ্রাম উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে বড় বড় শিল্পকারখানা, ব্যাংক, বিমা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের একাংশ জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইভাবে কাজগুলো বাস্তবায়ন করছেন। আমি বঙ্গবন্ধুর ছায়া দেখতে পাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর নানা পদক্ষেপে। �����RU<r�