নয়ন খন্দকার, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে সদর হাসপাতালের মাটি কেটে নিজ বাড়ি নির্মাণ করছেন এক চিকিৎসক। সরকারি সম্পত্তি বাড়ি নির্মাণে ব্যবহার করায় অসন্তুষ্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একজন চিকিৎসক কারও অনুমতি না নিয়ে মাটি কেটে ট্রলি ভরাট করে নিজের বাড়ির গর্ত ভরছেনÑএ ধরনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলার সচেতন মানুষ।
সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) প্যাথলজি পদের বিপরীতে কর্মরত ডা. মো. হুমায়ুন শাহেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে কোয়ার্টারের পাশের মাটি কেটে ট্রলি ভরা হচ্ছে। মাটি কাটা শ্রমিক আইনাল হোসেন বলেন, হাসপাতালের ডাক্তার হুমায়ুন শাহেদ আমাদের মাটি কাটতে বলেছেন। তাই আমরা মাটি কেটে ট্রলি ভরাট করে দিচ্ছি। এই মাটি হামদহ দিশারী পলিটেকনিকের পাশে যাচ্ছে। যেখানে ডাক্তার বাড়ি করছেন, সেখানে ভরাট করা হচ্ছে।
নির্মাণাধীন বাড়িতে কর্মরত এক নির্মাণ শ্রমিক বলেন, হুমায়ুন শাহেদের বাড়ি করা হচ্ছে। কয়েক দিন আগে বলেছিল মাটি কিনব, ট্রলিতে মাটি আসছে।
এদিকে হাসপাতালের মাটি কেটে নিজ বাড়ির গর্ত ভরাট করলেও কিছু জানেন না হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, হাসপাতালের মাটি ঠিকাদারের সরানোর কথা ছিল। সেটি এখনও সরানো হয়নি।
ডা. হুমায়ুন শাহেদ কেন মাটি কেটে নিচ্ছেনÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না। তিনি আমাকে কিছু বলেননি।
ঠিকাদার টিপু মল্লিক বলেন, হাসপাতাল নির্মাণের সময় মাটি যা লেগেছিল, তা ব্যবহার করে বাকি মাটি নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়েছে। এটি হাসপাতালের সম্পত্তি। হুমায়ুন শাহেদ মাটি কেটে নিতে পারেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, একটি সরকারি দপ্তরের মাটি কেটে একজন চিকিৎসক কীভাবে তার বাড়ি ভরাট করেন? কাউকে না জানিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে তিনি মাটি কেটে নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ডা. হুমায়ুন শাহেদ বলেন, আপনি হাসপাতালের সুপার সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কিছু জানেন না একথা জানানোর পর তিনি বলেন, হাসপাতালে আসেন। এরপর তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।