‘অভ্যন্তরীণ’ যাত্রীর ব্যাগ থেকে দুই কেজি স্বর্ণ আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুবাই-সিলেট-ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সিলেট থেকে আগত এম এইচ শিবলী নামে অভ্যন্তরীণ এক যাত্রীর কাছ থেকে দুই কেজির বেশি স্বর্ণ আটক করেছে কাস্টমস, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণসহ ওই যাত্রীকে আটক করা হয়। কাস্টমস গোয়েন্দার একাধিক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাস্টমস গোয়েন্দার মহাপরিচালক গোপন সংবাদ পান যে, শুক্রবার দুবাই-সিলেট-ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট নং বিজি-০২৪৮ এর মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালান হতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সতর্ক অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে দুবাই হতে সিলেট হয়ে ঢাকায় আগত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বিজি-০২৪৮ ফ্লাইট সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গোপন তথ্য অনুযায়ী ওই বিমানে সিলেট হতে বিমানে উঠা এম এইচ শিবলী নামের যাত্রীকে অভ্যন্তরীণ অ্যারাভাল হল হতে বের হয়ে যাওয়ার পরে শনাক্ত করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রী স্বর্ণ বহনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

পরবর্তীতে তার লাগেজ স্ক্যানিং করানো হলে যাত্রীর বহন করা ছোট কাগজের ব্যাগে কালো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো দুইটি বান্ডিল পাওয়া যায়। ওই বান্ডিল দুটি খুলে তার মধ্যে ১৮টি স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার মোট ওজন ২ হাজার ৯৭ গ্রাম (দুই কেজি ৯৭ গ্রাম) এবং আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৪৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। বিমানটি দুবাই থেকে সিলেটে অবতরণের পর এই যাত্রী অভ্যন্তরীণ যাত্রী হিসাবে বিমানে উঠেছিলেন। অভ্যন্তরীণ যাত্রীর মাধ্যমে অত্যন্ত সুকৌশলে লুকিয়ে অবৈধভাবে সরকারি ধার্যকৃত শুল্ককরাদি ফাঁকি দিয়ে ওই স্বর্ণ চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে আনা হয়েছে। যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

অপরদিকে, ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সি শিফটের কাস্টমস গোয়েন্দা দল দুবাই থেকে আগত বিজি-০১৪৮ বিমানযোগে আগত যাত্রী রাকিবুল হাসানের দেহ তল্লাশি করে প্যান্ট থেকে ৫২৫ গ্রাম পেস্ট সদৃশ স্বর্ণ এবং ২৩২ গ্রামের দুইটি স্বর্ণবার, ৯৮ গ্রামের বিভিন্ন স্বর্ণালংকারসহ মোট ৮৫৫ গ্রাম আটক করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এ বিষয়ে কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।