‘আশ্বাস’ ও ডিজিটাল হসপিটালের মধ্যে অংশীদারিত্ব

মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে বাংলাদেশভিত্তিক উদ্ভাবনী ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হসপিটাল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত আশ্বাস প্রকল্পের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে। প্রকল্পটি মানব পাচারের শিকার পুরুষ ও নারীদের পুনর্বাসনে কাজ করছে, আর বর্তমানে ডিজিটাল হসপিটাল তাদের বিভিন্ন ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে এবং এতে এখনও নতুন সদস্য যোগদান করছে।

স্বাস্থ্য প্যাকেজ স্বাধীনে (ডিজিটাল হসপিটাল প্রদত্ত) রয়েছে প্রতি মাসে ১৫০ মিনিট পর্যন্ত (ব্যবহারকারী ও তার পরিবার উভয়ের জন্য) বিনা মূল্যে ২৪/৭ ডক্টর কলের পাশাপাশি হাসপাতালে থাকার কাভারেজ হিসেবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিনা মূল্যে ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাক, কভিড-১৯ আইসোলেশন কাভারেজ হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা এবং এক হাজার ৬০০ টাকা ওপিডি কাভারেজ তিন মাসের জন্য। ২০২২ সালে প্রকল্পটির শেষ নাগাদ পাচারের শিকার পুরুষ ও নারীদের একটি বিশাল অংশকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছে আশ্বাস। এর মধ্যে রয়েছে সুবিধাভোগীদের উন্নত স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সাশ্রয়ী ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।  

কারিতাস, অগ্রগতি সংস্থা, সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজ (সিডব্লøউসিএস), ঢাকা আহছানিয়া মিশন (ডিএএম) এবং রাইটস যশোরের মতো সামাজিক সুরক্ষা অংশীদারদের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হবে।

প্রত্যাবাসন ও পুনরুদ্ধারের পর পাচারের শিকার পুরুষ ও নারীরা মানবেতর জীবনযাপন, অনুন্নত স্যানিটেশন, অপর্যাপ্ত পুষ্টি ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, কর্মক্ষেত্রের সংকটময় অবস্থা এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবার অভাবের কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। এছাড়া পাচার হওয়া নারীদের প্রায়ই সামাজিক কুপ্রথার মতো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। তাই তাদের আত্মবোধ পুনর্গঠন, অসহায়ত্বকে বুঝতে এবং তাদের মানসিকভাবে শক্তিশালী করতে সহায়তা করার লক্ষ্যে পাচারের শিকার পুরুষ ও নারীদের প্রয়োজনীয় মানসিক ট্রমা-সংক্রান্ত মনোসামাজিক পরামর্শ প্রদান করে আশ্বাস। বিজ্ঞপ্তি