খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন বলেই সীমান্তে শত্রুরা এখনও ভয় পায়। তিনি না থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না; খালেদা জিয়া বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। তিনি বাংলাদেশের ত্যাগী নেত্রী। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, বিদেশে চিকিৎসা করতে দিন। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। সেটি হবে আপনাদের (সরকার) পতনের আন্দোলন।

খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এদেশে যদি গণতন্ত্র ও সুশাসন চালু রাখতে হয় তাহলে আমাদের বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতারাও বিদেশে চিকিৎসা করছেন। অথচ আজ খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করে অসুস্থ বানিয়ে বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

তিনি অভিযোগ করেন, পুরান ঢাকার জেলখানায় যে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে, তা ধরা পড়ে যাবে বলে বিদেশে চিকিৎসার করতে দিচ্ছে না সরকার।

আমান বলেন, যদি অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো না হয়, তাহলে হাসিনা সরকার পতনের কঠোর আন্দোলন শুরু হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।

এছাড়া ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, জাকির হোসেন জাকির, মামুন হাসান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।